প্রকাশ: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জন্য তাঁর সারাটা জীবন ত্যাগ ও তিতিক্ষা করে গিয়েছেন। তাঁরই অনুরূপ আমরা দেখতে পারছি তাঁরই দুই তনয়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মধ্যে। শেখ রেহানার অনুপ্রেরণা আর উৎসাহেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। আসলেই যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬০তম পর্বে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (নীলদল) সভাপতি, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার জন্মদিন আজ ১৩ সেপ্টেম্বর, আবার এই মাসেরই ২৮ তারিখ আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনারও জন্মদিন। একই মাসে দুই বোনের জন্মদিন সেই উপলক্ষে আমরা আজকে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছি। আমার দুই প্রিয় আপার জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মূলত লন্ডনে লেখা পড়ার কারণে রেহানা আপার কাছে যাওয়ার অনেক সুযোগ হয়েছে। আসলে রেহানা আপা এতোটা সাদামাটা যে তার কাছে না গেলে বুঝার কোন উপায় নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের দিন। যেদিন জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। বড় বোনের সাথে শেখ রেহানা তখন ব্রাসেলসে ছিলেন। প্রাণে বেঁচে গেলেও পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে দুই বোন এতিম হয়ে যান। ব্রাসেলস থেকে জার্মানী হয়ে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় ভারতে আশ্রয় নেন। শুরু হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জীবন। যে নেতা এই বাঙালি জাতিকে তার নিজস্ব জাতি সত্তার পরিচয় দিয়েছেন সেই নেতার মেয়ে জীবনের একটি পর্যায়ে সুপার সপে কাজ করে তার জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এটা হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। শেখ হাসিনা বলি আর শেখ রেহানা বলি তাদের দুইজনের রক্ত ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বইছে। এই দুই জনই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি।