রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাতেই বেঁচে আছেন বঙ্গবন্ধু
#সাদামাটা একজন মানুষ আমাদের শেখ রেহানা: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। #যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা: অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া। #শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি: ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জন্য তাঁর সারাটা জীবন ত্যাগ ও তিতিক্ষা করে গিয়েছেন। তাঁরই অনুরূপ আমরা দেখতে পারছি তাঁরই দুই তনয়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মধ্যে। শেখ রেহানার অনুপ্রেরণা আর উৎসাহেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। আসলেই যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬০তম পর্বে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (নীলদল) সভাপতি, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা বলেন, আজকে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানার জন্মমাস নিয়ে আলোচনা করছি। জন্মদিন এমন একটি খুশির দিন যে দিনটি আমরা সবাই আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে উৎযাপন করি। কিন্তু আমাদের বড় আপা অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও ছোট আপা শেখ রেহানাকে এই জন্মদিন উৎযাপন করতে হচ্ছে তার পরিবার ছাড়া। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার জন্মদিন আজ। ১৯৫৫ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল দুষ্কৃতিকারী সেনাসদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সবাই নিহত হলেও দেশের বাহিরে থকায় বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরবর্তীতে প্রতিকূল পরিবেশে দেশে ফিরতে না পেরে দীর্ঘদিন দুই বোন ভারতে থাকতে বাধ্য হন। পরে লন্ডনে গিয়ে সেখানে স্থায়ী হন শেখ রেহানা। তিন সন্তানের জননী শেখ রেহানা ব্যক্তিগতভাবে এখনো কর্মজীবী। ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক ববি ও দুই কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকী ও আজমিনা সিদ্দিক। একজন সাধারণের মতই জীবনযাপন করেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। যেন একদম সাদাসিধে একজন নারী। চরিত্রে কখনও আদিখ্যেতা কিংবা অহংকার মনোবৃত্তি পোষণ করেননি। দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে। সংগ্রাম করে যাচ্ছেন জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে। সুযোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পর্দার অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। যার অনুপ্রেরণায় শেখ মুজিব হতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর এখন পর্দার অন্তরালে বড় বোন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি হলেন শেখ রেহানা, জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা। শেখ রেহানার ইতিবাচক ভূমিকার কারণেই শান্তির আলোকবর্তিকা হাতে বিশ্বময় শেখ হাসিনা। শেখ রেহানা বেগম মুজিবের পরিপূরক হয়ে উঠেছেন তার কর্মে এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে। শেখ রেহানার জীবনালেখ্য নিয়ে হয়তো বেশি কিছু জানা যায়নি, তবে জীবনের গভীরতা অনুধাবন করা যায় ব্যাপকভাবে। কারণ, তার সাদামাটা জীবনচরিত এবং অতিথিপরায়ণতা সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।

অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাঙালি জাতির জন্য তার সারাটা জীবন ত্যাগ ও তিতিক্ষা করে গিয়েছেন। তারই অনুরূপ আমরা দেখতে পারছি তারই দুই তনয়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মধ্যে। ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার জন্মদিন। তিনি বাংলার সাধারণ জনগোষ্ঠীর মতই জীবনাচরণ করে থাকেন। চরিত্রে কখনও আদিখ্যেতা কিংবা অহংকার মনোবৃত্তি পোষণ করেননি। নিরবে নিবৃত্তে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, সংগ্রাম করে যাচ্ছেন জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে। সুযোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ রেহানা, মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পর্দার অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন সাহস ও অনুপ্রেরণা যার ফলশ্রুতিতে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন। আর এখানে শেখ রেহানার ভূমিকা আরও সুস্পষ্ট, বোন শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব নেতৃত্বের অংশীদার হতে পেরেছেন এবং তার পেছনে নিঃসন্দেহে ভূমিকা রয়েছে শেখ রেহানার। ছায়া হয়ে, আলো হয়, পরামর্শ দিয়ে প্রতিনিয়ত আগলে রাখছেন প্রিয় বড় আপা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। আজ পর্যন্ত কখনই সামনে এসে কৃতিত্বের দাবি করেননি বরং নেপথ্যে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সাহস যুগিয়ে, পরামর্শ দিয়ে পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ পুরো বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকে। আজ সারা দেশের আস্থা, ভরসার জায়গা শেখ হাসিনা। আর শেখ হাসিনার ভরসার জায়গা শেখ রেহানা। নিরবে, নিবৃত্তে বড় আপার ছায়াসঙ্গী হয়ে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন পিতার স্বপ্নপূরণে। শেখ রেহানার অনুপ্রেরণা আর উৎসাহেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। আসলেই যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। 

ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার জন্মদিন আজ ১৩ সেপ্টেম্বর, আবার এই মাসেরই ২৮ তারিখ আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনারও জন্মদিন। একই মাসে দুই বোনের জন্মদিন সেই উপলক্ষে আমরা আজকে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছি। আমার দুই প্রিয় আপার জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মূলত লন্ডনে লেখা পড়ার কারণে রেহানা আপার কাছে যাওয়ার অনেক সুযোগ হয়েছে। আসলে রেহানা আপা এতোটা সাদামাটা যে তার কাছে না গেলে বুঝার কোন উপায় নেই।  ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের দিন। যেদিন জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। বড় বোনের সাথে শেখ রেহানা তখন ব্রাসেলসে ছিলেন। প্রাণে বেঁচে গেলেও পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে দুই বোন এতিম হয়ে যান। ব্রাসেলস থেকে জার্মানী হয়ে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় ভারতে আশ্রয় নেন। শুরু হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জীবন। যে নেতা এই বাঙালি জাতিকে তার নিজস্ব জাতি সত্তার পরিচয় দিয়েছেন সেই নেতার মেয়ে জীবনের একটি পর্যায়ে সুপার সপে কাজ করে তার জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এটা হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। শেখ হাসিনা বলি আর শেখ রেহানা বলি তাদের দুইজনের রক্ত ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বইছে। এই দুই জনই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভোরের পাতা সংলাপ   শেখ হাসিনা   শেখ রেহানা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]