প্রকাশ: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক গৃহবধূকে স্বামী-দেবরের নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ অভিযুক্ত ২ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো গৃৃৃহবধুর স্বামী আমির হোসেন (৪০) ও তার বোন হাসিনা বেগম। তারা উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজারামপুর মোহাম্মদীয়া মিয়া বাড়ির মৃত মফিজ উদ্দিনের সন্তান।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ দুুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজারামপুর মোহাম্মদীয়া মিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রোববার সকাল থেকে গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও চিত্রটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
থানা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূ আমেনা বেগমকে (৩০) শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে তার স্বামী আমির হোসেন ও দেবর এরশাদ নির্দয়ভাবে চুলের মুঠি ধরে লাঠি পেটা করে এবং বেধড়ক চড় থাপ্পড়, লাথি, কিলঘুষি দিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
গৃহবধূকে নির্যযাতনের সময় এক প্রতিবেশী নির্যাতনের ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ড একটি ভিডিও ধারণ করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
জানা যায়, গৃহবধুর স্বামী আমির ও দেবর এরশাদ মাদক ব্যবসা ও ডাকাতিতে জড়িত। ওদের ভয়ে কেউ এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।
ঘটনার পর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ আমেনা বেগম তার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, শনিবার বিকেলে ওই গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে রোববার সকালের দিকে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত গহবধুর দেবর এরশাদ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওই মামলায় সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।