প্রকাশ: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যা এখন সারা বিশ্বে প্রসংশিত। করোনা নিয়ন্ত্রণ কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে সম্ভব হয়নি। এটা কাজের ফল, প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা এবং চিকিৎসক, নার্স ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেশিওলজি) পদে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের যোগদান এবং ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো আছে। ৬ শতাংশ গ্রোথ রেট আছে। খাদ্যের অভাব হচ্ছে না। বিদেশে লোক যাওয়া-আসা করছে। ব্যাপক বা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আমরা পাচ্ছি। সংক্রমণের হার কমছে। ফলে স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।
দেশে অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট সংকট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যানেস্থেশিওলজির নতুন নিয়োগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আরো অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট প্রয়োজন রয়েছে। আগামীতেও অ্যানেস্থেশিওলজিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে এই সংকট আর থাকবে না। পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যানেস্থেশিওলজিস্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের যাকে যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানে গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশের সব জেলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো সমস্যা থাকে আমরা আছি। আপনাদের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।
ডাক্তার, নার্সদের নিরাপত্তা বিষয় জাহিদ মালেক বলেন, অবশ্যই সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা অনেক স্থানে হতে পারে। সেটা কোনো উদাহরণ হতে পারে না। তবে আমরা যে বিষয়ে কাজ করি সেটা খুবই সেনসেটিভ।
তিনি আরও বলেন, দেশে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, যেটা ভারতে ঘটেছে। সেখানে গাড়িতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা করোনা ভ্যাকসিনেশনেও ভালো করছি।
এ বছরে আরো অনেক ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন। এ মাসে দেড় কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আমাদের সমালোচনা থাকবে। সমালোচনাকে তোয়াক্কা করিনি। সমালোচনার ফলে আমাদের গতি অনেক বেড়েছে।
ভোরের পাতা/অ