উদ্ধারকৃত শিশুদের দাবি, পানি বিক্রির জন্য রাজধানীর সদরঘাট থেকে ‘ইমাম হাসান-৫’ নামের একটি লঞ্চে উঠেছিল তারা। ভাড়া না দেওয়ায় তাদের মেঘনা নদীতে ফেলে দেন লঞ্চের স্টাফরা।
তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশু দুটিকে ফেলে দেওয়া হয়নি। ট্রলারযোগে মুন্সিগঞ্জে নামতে না পেরে নিজেরাই পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিল।
গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, আমি স্পিডবোটযোগে গজারিয়া থেক মেঘনা নদী দিয়ে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। পথে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে দুই শিশুকে নদীতে ভাসতে দেখে স্পিডবোট থামিয়ে নদী থেকে তাদের উদ্ধার করি।
পরে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে নিয়ে শিশুদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা-সদরঘাটগামী ‘এমভি আল-বোরাক’ নামের আরেকটি লঞ্চে উঠিয়ে দিই। পরে ওই দুই শিশু তাদের বাসায় পৌঁছে বিকেল ৩টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে জানায় যে তারা বাসায় নিরাপদে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু দুটিকে উদ্ধারের পর তারা জানায়, সদরঘাট থেকে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চে পানি বিক্রির জন্য ওঠে তারা। কিন্তু তারা ভাড়া না দেওয়ায় ওই লঞ্চের স্টাফরা তাদের মাঝনদীতে ফেলে দেয়।
ভোরের পাতা/কে