প্রকাশ: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:৪৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার ২০তম বার্ষিকীতে এ হামলা সম্পর্কিত তদন্তের নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই। ‘৯/১১’ তদন্ত সম্পর্কিত নথি প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিলেন ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের স্বজনেরা।
সেই দাবির প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাহী আদেশের পর এই নথি প্রকাশ করা হলো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
এফবিআই’র ২০১৬ সালের এসব নথিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের সৌদি কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তা এবং একজন সৌদি গোয়েন্দা এজেন্ট সেদিনের হামলায় ব্যবহৃত বিমান ছিনতাইকারীদের অন্তত দুজনকে যানবাহন সহযোগিতা করেছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে এফবিআইয়ের করা তদন্তের বিস্তারিত রয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসকারী সৌদি শিক্ষার্থী ওমর আল-বিয়ুমী ওমর আল-বিয়ুমী সম্পর্কিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও অন্যান্য যোগসূত্রের বিস্তারিত রয়েছে এই নথিতে। যার ফলে ওমর আল-বিয়ুমীকে সৌদি আরবের গোয়েন্দা এজেন্ট হিসেবে সন্দেহ করে এফবিআই।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির নথির বর্ণনায়—দুজন বিমান ছিনতাইকারীকে ভ্রমণে সহায়তা, থাকার ব্যবস্থা ও অর্থায়নে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন সৌদি শিক্ষার্থী ওমর আল-বিয়ুমী।
ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাস গত বুধবার এফবিআইয়ের যেকোনো নথি প্রকাশকে স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় সৌদি আরবের জড়িত থাকার দাবিও মিথ্যা বলে উল্লেখ করে সৌদি দূতাবাস।
অন্য দিকে, মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যেরা গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার আবেদন জানান। তাঁদের দাবি, এফবিআই মিথ্যা বলেছে অথবা বিমান ছিনতাইকারীদের সঙ্গে সৌদি আরবের যোগসূত্র প্রমাণকারী আলামত ধ্বংস করে ফেলেছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নথিগুলো প্রকাশের উদ্দেশে পর্যবেক্ষণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে নির্দেশ দেন।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে আমি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। নৃশংস এই হামলার ২০তম বার্ষিকীতে আমি সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান জানাচ্ছি।’