প্রকাশ: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:১০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেছেন ভারতের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা বিজয় রুপানি।
বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে এই পদত্যাগ ভারতের রাজনীতিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
পদত্যাগের বিষয়ে রুপানি বলেন, গুজরাটের উন্নয়নে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্দেশনায়। এখন রাজ্যের আরও উন্নতির জন্য নতুন শক্তি ও ক্ষমতার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি।
তিনি আরও বলেন, দল হিসেবে বিজেপি প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন আনে। আমাদের এই একটি বিশেষ গুণ রয়েছে, দলের কর্মীরাও মনেপ্রাণে তা মেনে চলে। আমিও একই শক্তি নিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাব।
রুপানি ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগে বিজেপির সামনে এখন তিনটি পথ খোলা রয়েছে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ, রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে রাজ্যকে নিয়ে আসা অথবা আগাম নির্বাচন।
দলীয় সূত্র জানায়, এই মুহূর্তে আগাম নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনায় নেই। নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ কৌশল নেওয়া হতে পারে।
২০১৬ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলকে সরিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। সেই থেকে শাসকদলীয় রাজনীতিতে প্যাটেলরা কিছুটা কোণঠাসা। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্তরে তার কিছুটা অন্য ধরনের প্রতিফলনও ঘটেছে। সরকারের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্ট সমালোচনা করেছেন। বিরূপ মন্তব্যও করেছেন। করোনা মোকাবিলার ব্যর্থতার দরুন রাজ্য সরকারকে তিরস্কৃত হতে হয়েছে। একাধিক হাসপাতালে আগুন লেগে বহু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। লাভ জিহাদ আইন প্রণয়নের চেষ্টা নিয়েও আদালত নানা প্রশ্ন তুলেছেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় প্যাটেল সম্প্রদায়। তারা ক্ষুব্ধ। দেড় বছর আগে তাই ভোটের ঘুঁটি সাজাতে রুপানিকে সরিয়ে দিলেন দুই গুজরাটি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দিল্লিতে দলের এক নেতার কথায়, ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মোকাবিলায় আগেভাগে ব্যবস্থা নিল দল। ভোটের আগে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে গুছিয়ে নেওয়ার অনেক সময় দিতে এই সিদ্ধান্ত।’
দলীয় সূত্র অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা যাঁদের, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া ও পুরুষোত্তম রুপালা। এঁদের সঙ্গেই রয়েছেন বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেল। এই তিনজনই প্যাটেল সম্প্রদায়ের।
১৯৯৮ সাল থেকে টানা ২৩ বছর গুজরাট শাসন করছে বিজেপি। ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোদি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।