সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস করে দেবেন ড. কাজী এরতেজা হাসান
আওয়ামী লীগ হওয়া যায় না, আওয়ামী লীগার হয়ে জন্মাতে হয়, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এই কথা বলেন ড. কাজী এরতেজা হাসান
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব অফিস করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য, ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইম সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির প্রথম পরিচিতি সভায় ড. কাজী এরতেজা হাসান এ ঘোষণা দেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের কামালনগরস্থ তুফান কনভেনশন সেন্টারের যমুনা হলের দ্বিতীয় তলায় জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রথম পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে নির্বাহী কমিটির প্রথম পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এস. এম জগলুল হায়দার।
অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, ‘সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো ভবন বা অফিস নেই। এটা সত্যিই বেদনার। আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে অফিস করার জন্য সকল খরচ বহন করবো। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আমরা আবারো বৈঠক করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। কেননা ৫০ বছরেও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব অফিস না থাকাটা আমাকে পীড়া দিয়েছে। জামায়াত-বিএনপির আখড়া খ্যাত সাতক্ষীরাকে শেখ হাসিনার ঘাঁটিতে পরিণত করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কেননা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক কর্মী হিসাবে এবং জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা হিসাবে আমার দায় রয়েছে। এ কারণেই যত দ্রুত সম্ভব নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে প্রথমধাপে জেলা আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ হওয়া যায় না, আওয়ামী লীগার হয়ে জন্মাতে হয়। কোনোভাবেই নিজেদের দলের কোন্দলে ষড়যন্ত্রকারীরা যেন সুযোগ না পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি বি.এম নজরুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ শাফী আহমেদ, মো. আছাদুল হক, মাস্টার নীলকণ্ঠ সোম, শেখ সাহিদ উদ্দিন, মিসেস সাহানা মহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, আ. হ. ম তারিক উদ্দীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওসমান গনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফসার আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আরাফাত হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনিত কুমার মুখার্জী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক গাজী আনিসুজ্জামান আনিচ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার সরকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লাইলা পারভীন সেঁজুতি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান লিটু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, কোষাধ্যক্ষ বাবু রাজ্যেশ্বর দাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, ফিরোজ আহমেদ, এসএম শওকত হোসেন, এবিএম মোস্তাকিম, অ্যাডভোকেট মোজহার হোসেন কান্টু, শেখ নুরুল ইসলাম, নরীম আলী মাস্টার, মো. মুজিবুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ নাসেরুল হক, শেখ আব্দুর রশিদ, মো. শাহ্জাহান আলী, মো. সাহাদাত হোসেন, ঘোষ সনৎ কুমার, এসএম আতাউল হক দোলন, মো. মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মারুফ হাসান মিঠু, আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাঈদ মেহেদী, মো. আব্দুল কাদের, সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, মো. আসাদুজ্জামান অসলে, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক ছোট, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান সুমন, মিসেস কহিনুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নাজমুন নাহার মুন্নি, মো. সামছুর রহমান, মীর জাকির হোসেন, মিসেস মাহফুজা রুবি ও ইসমত আরা বেগম প্রমুখ।