শেখ হাসিনা উল্টো পথের সারথি: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রতিটি বাঙালি হৃদয়ের স্পন্দনে পরিণত হয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন দক্ষ নেত্রী এখন শুধু বাংলাদেশের নেত্রীই নন, তিনি বিশ্বনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ফিরে না আসলে আজকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হতো না বাংলাদেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৫৭তম পর্বে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য স্টাডি সার্কেলের চেয়ারপারসন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, এ বছরে ফেব্রুয়ারিতে আমি ভারতে গিয়েছিলাম। তখন বিদেশে গেলে এবং ফিরে আসলে করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। তখনো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করেনি। আমি এই তথ্যটা এই কারণে দিলাম, ছোট্ট একটা বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়েছিল। তিনি যে সূক্ষ্মাতি সুক্ষ্ম বিষয় নিয়ে খোঁজখবর রাখেন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশ যেভানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে চীন, ভারত. আমেরিকার মতো দেশ থেকে একসাথে এতসংখ্যক ভ্যাকসিন আনার রেকর্ড আর কোনো দেশের রাষ্ট্রনায়কের নেই। তার কূটনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই এ রকম সাফল্য দেখাতে পেরেছে বাংলাদেশ। আমি খুব সংক্ষেপে যেতে চাই, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্টো পথের সারথি বলতে চাই। কেননা বলা হয়, হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িতক বাংলার ভূখণ্ড। কিন্তু এ অঞ্চলেই রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই বঙ্গভঙ্গ থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমলেও মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। কিন্তু এ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আর কোনো নেতা পাওয়া যায়নি। আজকে অনেকেই বলেন, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আওয়ামী লীগ যখন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় মুসলিম শব্দটি ফেলতে এক দশকের বেশি সময় লেগেছে। আজকের অবস্থানে দাঁড়িয়ে চিন্তাও করা যায় না, কিন্তু একজন প্রগতিশীল মাওলানাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করার কথা। এই মাটিতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো শাসক নেই যারা অসাম্প্রদায়িক নেতা আসেনি। আজকে ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেখে যদি কেউ মনে করেন যে, শেখ হাসিনার যাত্রাপথটি মসৃণ ছিল তা ঠিক নয়। তাকে নিজ হাতে ৩২ নম্বরের রক্ত পরিষ্কার করতে হয়েছিল। গরুর গাড়িতে চড়ে রাজনীতি করতে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ যতদিন বাংলাদেশের শাসনভার বহন করবেন, ততদিনই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।