প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৪১ পিএম আপডেট: ১০.০৯.২০২১ ১:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পুরুষদের বিয়ের ফাঁদে ফেলে করে আসছিলেন প্রতারণা। এবার সেই প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করায় এক স্বামীকে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে একাধিক নাম-জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাধিক স্বামী-প্রেমিক নিয়ে আলোচনায় আসা সেই নারীর বিরুদ্ধে।
হুমকি সত্ত্বেও বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বামী প্রবাসী ইমাম হোসেন। মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানাকে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলায় ওই নারী ছাড়াও মোস্তফা জামিল ও রাশেদ নামে আরো দুজনকে আসামি করা হয়।
ইমাম হোসেনের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, বিয়ের নামে নানাবিধ প্রতারণা করে আসছিলেন ভিন্ন ভিন্ন নামধারী ওই নারী। স্বামী ইমাম হোসেন বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তাকে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। কখনো মিনু আক্তার, কখনো নাছমিন আক্তার সিমু, কখনো আবার ফাতেমা খাতুন বা ফাতেমা আক্তার রোমানা পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তার চারটি ভিন্ন ভিন্ন নামের জাতীয় পরিচয়পত্র, তিনটি কাবিননামা, একাধিক বিয়ে ও বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে মেলামেশার তথ্য রয়েছে। খাগড়াছড়ির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা গ্রামের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে থাকছেন গাজীপুরে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখ টাকা কাবিনে মিনু আক্তারকে বিয়ে করেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইমাম হোসেন। বিয়ের পর ইমাম হোসেন জানতে পারেন সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার রাশেদ নামে আরো এক যুবকের সঙ্গে চার বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে মিনুর। তবু সবকিছু মেনে নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান ইমাম। এরই মধ্যে মিনু আক্তার নাম পাল্টে হয়ে যান নাছমিন আক্তার সিমু। ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন গাজীপুরের মোস্তফা জামিলকে।
বিষয়টি নজরে এলে মিনুর প্রতারণা সম্পর্কে খোঁজ নিতে থাকেন ইমাম হোসেন। পরে জানতে পারেন ২০০৮ সালে লুৎফুর রহমান নামে টাঙ্গাইলের আরো একজনকে বিয়ে করেছিলেন মিনু। ওই সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। মূলত অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করাই তার কাজ।