গত সোমবার নির্দেশনা জারি করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে দেশটির ফেডারেল শিক্ষা অধিদপ্তর (এফডিই)।
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষক এবং শিক্ষক নন এমন সব কর্মচারীই যাতে নিয়মিত চুল-দাড়ি-নখ কাটেন এবং সুগন্ধী ব্যবহার করেন তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘প্রত্যেক কর্মী যাতে পরিপাটি থাকেন এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সে বিষয়টি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান/সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিশ্চিত করতে হবে। গেটে দায়িত্বরত এবং পিয়নদেরকেও অবশ্যই নির্ধারিত পোশাক পরতে হবে।’
পোশাকের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে প্রত্যেক কর্মী অবশ্যই ফর্মাল পোশাকে থাকতে হবে। একই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে যেকোনো অফিসিয়াল অনুষ্ঠান ও সভার ক্ষেত্রেও।
নারী কর্মীদের পোশাকের বলা হয়, ‘উপযুক্ত সাদামাটা এবং সুন্দর সালোয়ার কামিজ (ঐতিহ্যবাহী পোশাক), পাজামা, ওড়নাবা শালের সঙ্গে শার্ট, পর্দা মেনে চলা নারীরা স্কার্ফ বা হিজাব পরতে পারবেন তবে তা অবশ্যই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কোনো ক্ষেত্রেই জিন্স এবং টাইটস পরা যাবে না।’
বেশ কয়েক ধরনের জুতা পরা যাবে বলে জানানো হলেও পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে স্লিপারের বিষয়ে।
পুরুষদের পোশাকের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই জিন্স পরা যাবে না। গরমের দিনে হাফ হাতা শার্ট পরা যাবে কিন্তু কোনোভাবেই টি-শার্ট পরা যাবে না।