প্রকাশ: বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালী সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে হাটু পানি জমে যায়। ফলে সড়কটি দিয়ে হেঁটে চলাই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য এ সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচলে ভোগান্তির পাশাপাশি ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় সড়কটির সংস্কার নিয়ে দাবী জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
গত দুই বছর আগে সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার হলেও ঠিকাদার দুর্নীতি মামলায় জেলে চলে গেলে সড়কটির কোন কাজ হয়নি। কিন্তু ঠিকাদার কাজের শুরুতে বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলায় জনগনের ভোগান্তি আরো বেড়েছে।
সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী বেশ কয়েক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র অধীনে সদরপুর-পিয়াজখালী সড়কটির ৬ কিলোমিটার সড়কটি বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করা এবং বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়কটি সংস্কারে তারা সভা-সমাবেশ করলেও কতৃপক্ষের টনক নড়েনি। সড়কটি নাজুক থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
পিয়াজখালী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সদরপুর আটরশি বিশ্বজাকের মঞ্জিলসহ ভাঙ্গা, ফরিদপুর, নগরকান্দার হাজারো ব্যবসায়ী ও মানুষ পিয়াজখালী ঘাট ব্যবহার করে। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় যায়। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারনে পিয়াজখালী ঘাট দিয়ে এখন লোকজনের যাতায়াত কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন অন্য ঘাট ব্যবহার করছে।
এ সড়ক দিয়ে ট্রাক, নসিমন, ইজিবাইক চলাচলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অনেকেই এখন এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে না। এছাড়া এ সড়কটি দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে নানা ঝুঁকি নিয়ে।
জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে সাজ্জাত বরকত কনস্ট্রাকশন ইনঞ্জিয়ারিং লিঃ এন্ড ওহিদ কনস্ট্রাকশন লিঃ জেভি নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি উন্নয়ন ও প্রশস্থকরণ সংস্কারের কাজ শুরু করে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিভিন্ন দূর্নীতির মামলায় আটক হলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কাজ বন্ধের ফলে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটির প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ। চরম ঝুঁকি প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল চলছে। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি পুনরায় টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ দ্রুত করার দাবী স্থানীয়দের।
সদরপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মমিন জানান, পুনরায় রাস্তার কাজটি শুরু করতে আমরা নতুন প্রকল্প তৈরি করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে অনুমোদনের জন্য প্রেরন করেছি। প্রকল্পটি পাশ হলে দ্রুতই আবার কাজ শুরু করব।
ভোরের পাতা/কে