স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। মজুত রয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ এবং বিনামূল্যে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্ম থেকে পাওয়া শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর মাস হতে প্রতি মাসে দুই কোটি হিসাবে ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
করোনার টিকা সংগ্রহে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার টিকা সংগ্রহে আমরা বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ স্থাপন করেছি। এর মধ্যে কেবল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সাড়া পাই এবং অগ্রিম টাকা দিয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের চুক্তি করি। অন্যান্য উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে টিকা পাওয়ার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে কেবল চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি থেকে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর মধ্যে সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলমান টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সকল বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। টিকা প্রদান কেন্দ্র ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করা হয়েছে। টিকা প্রদানে প্রয়োজনীয় জনবলকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ভোরের পাতা/কে