বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
যেভাবে দিনমজুর থেকে কোটিপতি হলেন জ্যোতি!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১, ২:৩৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ

ভাগ্য বদলের জন্য কোনো জাদুর কাঠি নয়, প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রমের। সেই কথাটিই যেন ফের প্রমাণ করলেন এই নারী। 

ছিলেন দিনমজুর। মাত্র পাঁচ টাকার মজুরিতে সারাদিন কাজ করতেন তিনি। পেট ভরে খাবার জোটানোর কঠিন ছিল তার জন্য। অথচ সেই জ্যোতি রেড্ডিই কঠোর পরিশ্রম করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে আজ কোটিপতি। 

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালে ভারতের তেলঙ্গানার দরিদ্র পরিবারে জন্ম জ্যোতির। পাঁচ ভাইবোনের সংসারে ঠিক মতো খাবারও জুটতো না জ্যোতির। তাই তাদের দুই বোনকে এতিমখানায় রেখে এসেছিলেন বাবা। সে সময় জ্যোতির বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। 

ওই আশ্রম থেকেই দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন জ্যোতি। ১৬ বছর বয়সে স্যামি রেড্ডি নামে এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি । সামান্য জমি ছিল স্যামির। সেই জমিতে ফসল ফলিয়েই সংসার চালাতেন তারা। তাদের দুই সন্তান হয়।

সংসারে সাহায্য করতে নিজেও মাঠে কাজ করতে শুরু করেছিলেন জ্যোতি। টানা ১০ ঘণ্টা কাজ করে দিনে মাত্র ৫ রূপি মজুরি পেতেন তিনি। 

এসময় নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নেহরু যুব কেন্দ্রের শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। 

পড়াশোনার প্রতি অদম্য আগ্রহ থাকায় সব সংসার-সন্তান-চাকরি  সামলে ডক্টর বিআর আম্বেডকর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন জ্যোতি। এরপর একটি স্কুলে মাসে ৩৯৮ রূপি বেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। 

১৯৯৫ সালে ২ হাজার ৭৫০ রূপি বেতনে মণ্ডল গার্ল চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। তার কাজ ছিল স্কুলে স্কুলে পরিদর্শন করে কন্যাশিশুর শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় দেখা। এই কাজ করতে করতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন জ্যোতি।

২০০১ সালে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন জ্যোতি। এক ননদের সাথে সেখানে থাকতে শুরু করেন তিনি। পেট চালানোর জন্য সেই ননদই তাকে ১২ ঘণ্টার একটি কাজ জুটিয়ে দিয়েছিলেন। তার বেতন ছিল ৬০ ডলার। 

ভারতীয় মুদ্রায় চার হাজার ৪৫২ টাকা। এর বাইরে কখনও বেবিসিটার, কখনও সেলসগার্লের কাজও করতেন বাড়তি উপার্জনের জন্য।

এ ভাবে দেড় বছর কাটানোর পর দেশে ফিরে আসেন সন্তানদের দেখার জন্য। তারপর জমানো পুঁজি নিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করেন জ্যোতি। খোলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রসেসিংয়ের কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রেও তার প্রতিষ্ঠানের শাখা খোলেন জ্যোতি।

প্রথম বছরেই ১ কোটি ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৯ রূপির ব্যবসা করেন জ্যোতি। 

এখন একশ কর্মী রয়েছে তার অধীনে। হায়দরাবাদে একটি এবং যুক্তরাষ্ট্রে চারটি বাড়ি রয়েছে জ্যোতির। বছরে ১১১ কোটি রূপির বেশি ব্যবসা করে তার এই কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]