মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
কমিশন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে: অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১১:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আমরা অনেকদিন যাবত একটা বড় ভুলের মধ্যে বিচরণ করেছি যে, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অনেক সময় বলে থাকেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে কিছু বিপদ্গামি সেনা সদস্যদের দ্বারা এই হত্যাকাণ্ডটি রচিত হয়েছিল। কিন্তু সেসব সেনা সদস্যদের কি এমন দরকার ছিল যে বঙ্গবন্ধুকে সেদিন সপরিবারে হত্যা করবে। তাদের যারা পরিচালনা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, যারা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল, যারা কুশীলব ছিল তারাই মূল হত্যাকারী। এই বিএনপি যারা আজকে দেশে আইনের কথা বলে, সুশাসনের কথা বলে, ন্যায় বিচারের কথা বলে সেদিন তারা এই সংসদে বঙ্গবন্ধুর বিচার না হওয়ার জন্য আইন পাস করেছিল। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৪৪তম পর্বে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-  সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী  ড. শ্রী বীরেন শিকদার, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ সেলিম, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির বলেন,  আমার মরহুম পিতা ১৯৪৯ সালে বঙ্গবন্ধু যে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই আওয়ামী লীগের যশোর জেলার প্রথম কমিটির একেবারে শেষের দিকে একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি আমৃত্যু ৫৫ বছর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মূল স্রোতের সাথে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের মূল স্রোতের সাথে সংযুক্ত থেকে কাজ করেছিলেন। এই কারণে আমি আওয়ামী লীগ নেতার সন্তান হিসেবেও নিজেকে অনেক গর্ববোধ মনে করি। আমি সেই প্রজন্মের লোক যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমাদের পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে কোন কিছুই লেখা ছিল না বরং আমরা একটা বিকৃত তথ্যের আওতাধীন ছিলাম, একটি বিকৃত ইতিহাসে মধ্যে হাবুডুবু খেয়েছি। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে, গণমাধ্যমে কোন কিছুতেই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে কিছুই ছিল না। আমাদের জাতির কোন ইতিহাস ছিলো না, বঙ্গবন্ধু তখন নির্বাসিত ছিল। কি নির্মম! সে সময় বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার না করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করেছিল খুনি মোশতাক আর সেই অধ্যাদেশ কে আইনে রূপান্তরিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে যিনি কুশীলব, যিনি বেনিফিসিয়ারি, সেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান।  ১৯৭৯’র পার্লামেন্টে বিএনপির আসন সংখ্যা যখন ২০৭ ছিল, তখন সেই সংসদে যখন এই অধ্যাদেশকে আইনে রূপ দিচ্ছে তখন তারা দুজন কিন্তু আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন না। একজন আছে বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরেকজন জেনারেল মিজানুর রহমান আর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিল সুধাংশু শেখর হাওলাদার। তখন তারা সংসদে দাঁড়িয়ে নানাভাবে বলার চেষ্টা করেছিল শুধুমাত্র তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এই সংসদে জাতির পিতা যিনি কিনা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং তার পরিবারের হত্যার বিচার হবে না বলে যে আইন করা হচ্ছে এটা ঠিক না, এটা করা যাবে না।  যখন এই আইন পাস হয়ে গেল তখন সেই সংশোধনীতে এই তিনজন জাতীয় সংসদ সদস্য সেদিন ফ্লোর নিয়ে বলেছিল, মাননীয় স্পিকার এই সংসদে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হবে না বলে যে আইন পাস করলো, একদিন এমন সময় আসবে যেদিন এই সংসদে এই বিএনপির ২০৭ তো দূরের কথা, ১০৭ তো দূরের কথা, মোটে ৭টি আসনও জুটবে না তাদের কপালে। আজকে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করছি তখন কিন্তু এই বিএনপির বর্তমান জাতীয় সংসদে আসন সংখ্যা মাত্র ৬টি। এই সেই বিএনপি যারা আজকে দেশে আইনের কথা বলে, সুশাসনের কথা বলে, ন্যায় বিচারের কথা বলে সেদিন তারা এই সংসদে বঙ্গবন্ধুর বিচার না হওয়ার জন্য আইন পাস করেছিল।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভোরের পাতা সংলাপ   অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]