প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১০:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি ফ্লাইটে আসতে পারবেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। কারণ বিশ্বমানের বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। এ জন্য বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরে বর্তমানে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে। এ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে আসেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, প্রথমে ৯ হাজার ফুট থেকে আরও তিন হাজার ফুট সমুদ্র কূলে রানওয়ে সম্প্রসারণের কথা ছিল। কিন্তু অনেক গবেষণা ও কক্সবাজারের পরিবেশের কথা চিন্তা করে রানওয়ে ১ হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়।
মফিদুর রহমান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রানওয়ে সম্প্রসারিত হলে দেশের পর্যটনসহ অর্থখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এটি কক্সবাজারবাসীর জন্য আনন্দের বিষয়। এছাড়া এ বিমানবন্দরকে ঘিরে একটি এভিয়েশন হাব তৈরি হবে। এদিকে রানওয়ে সম্প্রসারণকে ঘিরে নানা রঙে সেজেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। এতে দেখানো হবে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে , আগামী ৫০ বছরের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হাতে নেওয়া হয়েছে এ প্রকল্প। ৩ হাজার ৭০৯ কোটি ৬০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর অনুমোদন পায়। চীনা দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ কাজ পেয়েছে। পাশাপাশি বেচিকের নিজস্ব অর্থায়নে সেখানে স্থাপন করা হবে প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ ক্যাটাগরি-১ লাইটিং সিস্টেম। তখন সুপরিসর বিমানগুলো পূর্ণ লোডে উড্ডয়ন-অবতরণ করতে পারবে। এতে বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতাও বাড়বে। বৃদ্ধি পাবে ফ্লাইট অপারেশনের সংখ্যা। ভবিষ্যতে কক্সবাজার সংলগ্ন মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার মতো দেশের বড় বড় এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফটও অবতরণ করতে পারবে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে।