প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৯:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিতব্য কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ কাজে অস্বাভাবিক ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে । বিগত ০২ মাস ধরে দৃশ্যত বিশেষ কোন কারণ ছাড়াই বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ। তাই যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা ।
গত ০৭ আগস্ট তারিখ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান। ২২৫২ বর্গমিটার এরিয়ায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের এই প্রকল্পের মেয়াদ ১২ মাস। অথচ টানা ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মসজিদের পিলার স্থাপনের কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান 'এমকোটি-এনএইচই (জেভি)।
কাজ বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুফাসসিরুল ইসলাম বলেন, মসজিদের পিলার তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু পাইলিংয়ের জন্য হ্যামার মেশিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাজ আপাততো বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া বর্ষার মৌসুম হওয়ায় কাজ করতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
'শুধুমাত্র কয়েকটি পিলার তৈরী করতেই কেন পাঁচ মাস লেগে গেল ?' - এমন প্রশ্নের জবাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলেন, বিভিন্ন সময়ে লকডাউন থাকায় এবং বর্ষার মৌসুম হওয়াতে ধীরগতিতে কাজ চালাতে হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী ।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে ব্যবহৃত টিনশেড ভবনটির ধারণক্ষমতা একেবারেই কম। এতে একসাথে সর্বোচ্চ ২৫০-৩০০ জন নামাজ পড়তে পারেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় অগণিত মুসল্লির বাহিরে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হয়। প্রায়ই মুসল্লিদের বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায় করতেও দেখা যায়।
মসজিদ নির্মাণ কাজে ধীরগতির বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ মনিরুজ্জান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে, অথচ দুঃখজনক ভাবে আমাদের ক্যাম্পাসে এখন পর্যন্ত ভাল একটি মসজিদ নেই। শুক্রবার নামাজ পড়তে আমাদের খুব কষ্ট হয়। নির্মাণ কাজ তদারকিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের গাফিলতির কারণেই যথাসময়ে মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ভোরের পাতা/কে