প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৭:৫৩ পিএম আপডেট: ২৭.০৮.২০২১ ৮:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জে অবস্থিত রামসা প্রকল্পের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজী লেক, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান ও হাওর বিলাসসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে চলছে পর্যটকদের মহোৎসব। কারণ জেলার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র হল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি।
সেজন্য দেশ-বিদেশের আগত পর্যটকরা এখানে এসে নৌযানে হাওর ভ্রমন, হাওরের স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কাটা, রাত্রি যাপন, মেঘালয় পাহাড়ের অপরুপ সৌন্দর্যসহ আরো নানান ভাবে আনন্দ উপভোগ করে থাকে। কিন্তু উচ্চস্বরে গান বাজানো, বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন ও হাওরের পরিবেশ নষ্ট করাসহ পর্যটকদের বিরুদ্ধে আরো নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরির্দশনে ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইঞ্জিন চালিত নৌকা, টলার কিংবা স্পিটবোর্ড নিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার ৬ ঘন্টা আগে নির্ধারিত ফরমে যানবাহনের নাম, পর্যটকের নাম, যাত্রার সময় ও ফেরত আসার সময়সহ অন্যান্য বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে জানাতে হবে।
কোন যানবাহন অতিরিক্ত পর্যটক বহন করতে পারবেনা। নৌযানে ভ্রমনের সময় চালক ও পর্যটকদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে এবং লাইফ জ্যাকেট ছাড়া হাওর ও নদীর পানিতে কেউ নামতে পারবেনা।
আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলে হাওর ও নদীতে ভ্রমন করা যাবে না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন করতে হবে।
এছাড়া পর্যটকবাহী প্রতিটি যানবাহনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। হাওর ও নদীসহ অন্য কোথাও ময়লা আর্বজনা ফেলা যাবেনা। উচ্চস্বরে মাইক ও লাউড স্পিকার ব্যবহার করে শব্দ দূষন সৃষ্টি করা যাবে না।
প্রতিটি নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আর ভ্রমণকালে পর্যটকরা তাদের জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করাসহ নিজেদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।
গত বছরের ১৯ মার্চ জেলার টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সকল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সম্প্রতি সরকারী নির্দেশনায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজী লেক, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান ও হাওর বিলাসসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির বলেন, উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে আগত পর্যটকদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়াসহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধ ও হাওরের পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। সেজন্য পর্যটক বহনকারী নৌচালক ও মালিকদের সাথে আলোচনা করে ভ্রমণ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।