গ্রেফতাররা হলেন-দেবীদ্বার উপজেলার কুরছাপ গ্রামের মৃত. আলী হোসেন মুন্সির ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৬৮) ও মো. মোস্তফা কামাল (৬১) এবং একই এলাকার মো. কাউছারের স্ত্রী নারগিছ (৩০)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ মে বিকেল ৩টায় ওই কিশোরীকে একটি খালি ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালান হাসান। এ ঘটনা হাসানের চাচি দেখে ফেললে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। পরে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় লোকজন এসে ওই কিশোরীকে ঘর থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর বাবা মো. জামাল হোসেন কুমিল্লা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয় হাসানের পরিবার।
পরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগিতায় মামলা তুলে নিতে ওই কিশোরীর পরিবারকে চাপ দেয় হাসানের পরিবার। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় প্রথমে ওই কিশোরীর বাবাকে পরে কিশোরীকে বেদম মারধর করেন হাসানের পরিবারের লোকজন। গত ২০ আগস্ট দুপুরে হাসানের বড়ভাই কাউছার কিশোরীর মাকে রাস্তায় পেয়ে প্রকাশ্যে লাঠিপেঠা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্থানীয় এক যুবক ফেসবুকে ভিভিওটি পোস্ট করলে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
৩২ সেকেন্ডর ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধর্ষণচেষ্টার মামলার আসামি মো. হাসানের বড়ভাই কাউছার আহম্মেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে লাঠিপিঠা করছেন। এ সময় তাকে স্থানীয় কয়েকজন থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে ওই কিশারীর মা অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাসানের ভাই নুরুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল এবং একই বাড়ির কাউছারের স্ত্রী নারগিছকে গ্রেফতার করে র্যাব।