সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসত্যের ওপর বিএনপির রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ১৫ ও ২১ আগস্ট নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
বিএনপিকে অসত্য এবং মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসত্যের ওপর বিএনপির রাজনীতিটা দাঁড়িয়ে আছে। মিথ্যা আর অসত্যের ওপর রাজনীতি করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না, এটিই হচ্ছে ইতিহাসের শিক্ষা। তাহলে হয়তো বিএনপির আজকের যে অবস্থা সেটা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেদিনকার প্রত্যক্ষদর্শী বর্তমানে সেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন। তিনিও আমাকে জানিয়েছেন- আমরা জিয়াকে দেখি নাই। সেই সময়ের আরও অনেকেই জীবিত আছে, তথাকথিত প্রথম কবরেও আসলে জিয়াউর রহমানের লাশটা কেউ দেখে নাই। এমনকি খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, বিচারপতি সাত্তারও দেখে নাই। জ্বিন কিংবা ভূতে দেখেছে কি-না আমি জানি না।
তিনি বলেন, গতকাল(২৬ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একটি সত্য কথা বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে আসলে জিয়াউর রহমানের কোন লাশ নাই। সেটি যখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটা বক্তব্য দিয়েছেন, অবশ্য সেটা না দিলে তার মহাসচিব পদ থাকে কি-না সেটাও একটা ব্যাপার আছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে আসছে। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালান। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবরে যান তারা, কোন সময় কারও বিয়ে ও কর্ণছেদন অনুষ্ঠান উপলক্ষেও তারা জিয়াউর রহমানের কবরে যান- সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। সেখানে গিয়ে আবার তারা মারামারি করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অনেক অপচেষ্টা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে ইতিহাসের পাতা থেকে নির্বাসিত করার অপচেষ্টা হয়েছে। রেডিও টেলিভিশন রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র থেকে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসিত করা হয়েছে। স্বাধীনতার খলনায়ক পাকিস্তানীদের দোসর জিয়াউর রহমানকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনীতির পাশাপাশি লেখাপড়া সঠিকভাবে চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা লেখাপড়াকে গুরুত্ব দেন। রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্রত, দেশ এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য, সেটি মাথায় রাখতে হবে। যেকোনও ত্যাগ স্বীকারে সবসময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনীতি করতে গিয়ে যাতে পড়াশোনার ক্ষতি না হয়।
এসময় উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, দেবাশীষ পালিত, জসিম উদ্দিন শাহ, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, গিয়াস উদ্দিন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খাঁন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।