প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৫:৫৫ পিএম আপডেট: ২৭.০৮.২০২১ ৬:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পাকিস্তান আমলে বাঙ্গালী জাতির ন্যায্য অধিকার আদায় থেকে শুরু করে মায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল অসংখ্য নেতা কর্মীদের বহু ত্যাগ তিতিক্ষা অত্যাচার নির্যাতন এবং রক্তে ঝরা ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলীষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে অনেক ত্রুটিবিচ্যুতি স্বত্বেও যতটুকু উন্নতি হয়েছে, অতীতের কোন সরকারের আমলেই তা হয়নি। দলীয় অনেক নেতা কর্মীকেও তাদের অন্যায় দূর্নীতির জন্য ছাড় দেয়া হয়নি, পরন্তু আপনার লেখায়ই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যে এ দলের ভেতরে সাহসী আত্মসমালোচনারও অবকাশ আছে।
এখানে পার্থক্য এটুকুই, যে আসিফ নজরুলের মত ব্যক্তিরা কিছু প্রবাসী দেশদ্রোহী ষঢ়যন্ত্রকারীদের কথাগুলোকেই দেশের মাটিতে বসে প্রতিধ্বনি করার দুঃসাহস দেখায় এবং দেশবাসীকে সেই গভীর ষঢ়যন্ত্রের দিকে উদ্বুদ্ধ করার মুখপাত্র হিসেবে গলা বাড়ায়। আত্মসমালোচনা করা, আর দেশের অমঙ্গল চিন্তার ষঢ়যন্ত্রে সহযোগীতা করা এক জিনিস নয়।
২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট হাওয়া ভবন নিয়ন্ত্রিত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জঘন্য উদ্দেশ্যে তার উপরে মাত্র দেড় মিনিটে তেরটি মারাত্মক আর্জেস গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং আইভি রহমান সহ চব্বিশ জন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পর ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ডঃ আসিফ নজরুলদের মত প্রতিবাদী কন্ঠস্বরেরা কোথায় ছিলেন, তাদের চেতনার বুকের পাঠা এবং সৎ সাহস তখন কোথায় ছিল?
লেখক: সাবেক সভাপতি, জার্মান আওয়ামী লীগ, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগ।