#বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরও তাঁর আদর্শ বাংলার মাটিতে চির অমর হয়ে থাকবে: নাসির উদ্দিন আহমেদ। #১৫ ও ২১ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে: আফছার খান সাদেক। #১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা: ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী, পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতাকে ধ্বংস করে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে এদেশকে আবার পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। গত ৪০ বছরে প্রায় ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এই হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নেরই চূড়ান্ত অপচেষ্টা হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেদিন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি এবং জঙ্গিদের সম্মিলিত প্রয়াসে পাকিস্তান থেকে সরবরাহ করা আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৪৩তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী, পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতাকে ধ্বংস করে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে এদেশকে আবার পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। এ সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে বেঁচে গেছেন। ইতিহাসের বিরল ও পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে, বিচারের পথ রুদ্ধ করে এবং সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে খুনিদের পুরস্কারস্বরূপ পুনর্বাসিত করা হয়। পাকিস্তানপন্থিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফ্রন্টলাইনে নিয়ে আসা হয়। তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও বহু ত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি এদেশে অনেকগুলো সাহসী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং এদেশকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এই পদক্ষেপ, নেতৃত্বের দৃঢ়তা, অসীম সাহস এবং সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশ পরিচালনাকে রুখে দিতে আবার নতুনভাবে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। তারই অংশ হিসেবে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির নেতৃত্বে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শনিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে রাস্তায় একটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এখানে সমবেত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ। দলীয় প্রধান ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই সমাবেশে ছিলেন প্রধান অতিথি। সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। যুদ্ধক্ষেত্রের ন্যায় একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে গ্রেনেড। সেদিন শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরিপূর্বক তাকে নিরাপদ রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং অনেক কষ্ট ও ঝুঁকির মধ্যে গাড়িতে তুলে বাসায় পৌঁছে দেন। গাড়িতে ওঠার সময়ও গুলি চালানো হয়। এতকিছুর পরও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। গণমানুষের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে ২০২১ সালে একটি মধ্যমআয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দূরদৃষ্টি ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেকে আত্মনিয়োজিত করেছেন এদেশের মানুষের কল্যাণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখছে উন্নয়নশীল এক সমৃদ্ধ নুতন বাংলাদেশকে। ধর্মীয় সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত সিদ্ধান্তগুলো উন্নত দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতাদের কাছে প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
আফছার খান সাদেক বলেন, বাঙালি জাতির জন্য শোকাবহ মাস হচ্ছে আগস্ট। এই আগস্টেই জাতির ইতিহাসের চরমতম শোকবিধুর ও কলঙ্কিত এক অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছিল। ১৯৭৫ সালের এই আগস্টের মধ্যভাগে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেদিন হাজার বছরের ইতিহাসের এই মহানায়কের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল শ্যামল বাংলার মাটি। আগস্টের কালরাতে আমরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হারায়নি সেদিন আমরা হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। এইজন্য জননেত্রীর মুখে আমরা বার বার শুনেছি যে, আমি একমাত্র এই দেশের মানুষের জন্য ও তাদের দোয়াই বেঁচে আছি। বঙ্গবন্ধু যেভাবে বলতেন যে আমার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা আর সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা হচ্ছে আমি এদেরকে বেশি ভালবাসি। এইজন্য নেত্রীও দেশের মানুষকে এতো ভালবাসেন এইজন্য আল্লাহ তায়ালা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এইজন্য আমরা আল্লাহ্র কাছে শুকরিয়া আদায় করি জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে আল্লাহ হেফাজতে রাখেন, জননেত্রী শেখ রেহানার পরিবারকে যেন আল্লাহ হেফাজতে রাখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের কূট ষড়যন্ত্র আর হামলার শিকার হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শ এবং চেতনাও। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে এর বিচারের পথ রুদ্ধ করে আরেক কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কলঙ্কিত সেই অধ্যাদেশ বাতিল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া ও নানা কূটকৌশলের জাল ছিন্ন করে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা এবং পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। তবে পুরো জাতি এখনও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধুর বাকি ছয় পলাতক খুনির ফাঁসি কার্যকরের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। চক্রান্তকারীরা এখনো জননেত্রী শেখ হাসিনার আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। এদের কেন বিচার আওতায় আনা হচ্ছে না। পনরোই আগস্টের এখনো অনেক সাক্ষী জীবিত আছে যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর মোস্তাকের মন্ত্রী সভায় যোগদান করেছিল। পনরোই আগস্ট ও একুশে আগস্টের সময়টা অনেক লম্বা হলেও এর চক্রান্তকারীরা কিন্তু একই ও তাদের নীল নকশা ও উদ্দেশ্য ছিল একই।
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ বলেন, আগস্ট যেন বাংলাদেশের জন্য এক চরম বিপর্যয়ের মাস। সেই যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নৃশংস ঘটনা, তারপর একে একে ভয়াল বিপর্যয় নিয়েই এসেছে আগস্ট। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড আছে কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মতো নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটিও নেই। সেদিন তারা গর্ভবতী মহিলা থেকে একজন নিরীহ শিশুকেও ছাড় দেইনি। সেদিন ঘাতকদের মূল টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুসহ তার পুরো পরিবার ও নিকট আত্মীয়রা। ঘাতকরা তাদের কাউকেই পৃথিবীতে জীবিত রাখবে না এটাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা। সেই অনুযায়ী তারা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িসহ আশপাশের একাধিক বাড়িতে হত্যার জঘন্য উল্লাসে মেতে ওঠে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতুন্নেছা মুজিব ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর নিকট আত্মীয় সহ মোট ২৬ জন সেদিন শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে তারা প্রাণে বেঁচে যান। তবে সে সময় তাদের বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিজয়ী এই রাষ্ট্রকে পেছনের দিকে ঠেলেছে আগস্ট। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর বাংলাদেশকে তার হারানো মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথে ফেরানোর চেষ্টা আবার শুরু হয়। সে চেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখে ১৯৯৬ সালের জুনে, আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ ২১ বছর পরে গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল চিন্তার পথ ধরে বাংলাদেশ পরিচালিত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই বার বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। গত ৪০ বছরে প্রায় ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এই হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নেরই চূড়ান্ত অপচেষ্টা হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেদিন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি এবং জঙ্গিদের সম্মিলিত প্রয়াসে পাকিস্তান থেকে সরবরাহ করা আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা, মহাকালের মহানায়ক। এ দেশের মানচিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার জীবন। এ জাতির ভাগ্য এবং দুর্ভাগ্যের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে তার জীবন। শত চেষ্টা করেও ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়নি তাঁর নাম, তাঁর অর্জন।