প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৮:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ ধলেশ্বরী, লৌহজং, বংশাই ও ঝিনাই নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। ক্ষতি হচ্ছে আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে এ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী এলকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কালিহাতীর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, ভৈরববাড়ী গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার গত এক মাসে গৃহহীন হয়ে পড়েছে।ঘরবাড়ি হারিয়ে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। এখনও মাঝে মাঝে নদী ভাঙছে। নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই পানি প্রবেশ করেছে।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আহসানুল বাসার জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হেক্টর আমন বন্যায় তলিয়ে গেছে। এখনও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যার কারণে পানি বন্দি এসব মানুষের ভোগান্তি বাড়েই চলছে।
ভোরের পাতা/কে