এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- অর্থ আত্মসাৎ, ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি না করা, ই-ক্যাবের কারণ দর্শানো ও সতর্কীকরণ পত্রের জবাব না দেওয়া, ই-ক্যাবের দেওয়া অভিযোগের সমাধান না করা, ‘ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ২০২১’ প্রতিপালন না করা ও এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করা।
ই-ক্যাব জানায়, নোটিশ পাওয়া অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নয়টি প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কেউ কেউ অভিযোগ নিষ্পত্তি ও ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ মেনে চলার প্রতিশ্রুতিসহ সময় প্রার্থনা করেছে। তাই নয়টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষণে রেখে অধিকতর তদন্ত চলছে। সন্তোষজনক সমাধান না হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অনুরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভোক্তা ও বিক্রেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ই-ক্যাব ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এর মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া অথবা সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ার কারণে চারটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ই-ক্যাব ক্রেতার আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে অস্বাভাবিক অফার দেওয়া পণ্য কেনাকাটায় সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করছে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান 'ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১' প্রতিপালন করছে না সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছে।
এছাড়াও ই-ক্যাব জানিয়েছে, ক্রেতা-ভোক্তারা কোনো প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন।
ভোরের পাতা/কে