প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৫:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনে ২০২০ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স ইসি সচিবের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন।
হিসাব জমা দেওয়ার পর এমরান সালেহ প্রিন্স সাংবাদিকদের জানান, ২০২০ সালে বিএনপির আয় হয়েছে এক কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৯ টাকা। ব্যয় এক কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। যা বিএনপির তহবিল থেকে খরচ করা হয়েছে।
২০১৯ সালে বিএনপির আয় ছিল ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৭১০ টাকা। ব্যয় ছিল দুই কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৭ টাকা। ওই বছর আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি ছিল এক কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৭ টাকা। ২০১৮ সালে দলটির আয় হয়েছিল নয় কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। ব্যয় হয়েছিল তিন কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। তখন দলের ছয় কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা উদ্বৃত্ত ছিল।
২০১৭ সালে দলটির আয় ছিল নয় কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা এবং ব্যয় ছিল চার কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল চার কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল তিন কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। ২০১৫ সালে বিএনপির আয় ছিল এক কোটি ৭৩ লাখ তিন হাজার ৩৬৫ টাকা এবং ব্যয় ছিল এক কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। ২০১৪ সালে আয় ছিল দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা এবং ব্যয় ছিল তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার টাকা। ২০১৩ সালে দলটির আয় ছিল দুই কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা এবং ব্যয় ছিল ৭৬ লাখ পাঁচ হাজার ৭৬২ টাকা।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমরান সাহে প্রিন্স বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কিন্তু গত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য উপ-নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমান সরকার এবং তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশন এ সকল নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বর্তমান সরকার ও তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর মাধ্যমে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ও সংসদ গঠন করতে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নাই।
ভোরের পাতা/কে