চার বছর পর ১৬৬ কাউন্সিলরের মধ্যে ১২০ জনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডর (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বিসিবির এজিএম। আগামী অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম শেষে সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘আসলে এবার বোর্ড মিটিংয়ে ১ তারিখ বা ২ তারিখ যখনই হয় সেদিন একটু ধারণা পাবেন আপনারা ইলেকশন নিয়ে এটাতে কোন সন্দেহ নেই। এবারের ইলেকশনটা একটু আলাদা হবে। অন্যান্যবারের মতো নাও হতে পারে। আশা করি এটা এক্সেপ্টেড হবে, যেমনটা আমি প্রপোজ করেছি।’
এবার বোর্ড নির্বাচনে ব্যতিক্রম কিছুর আভাস দিলেও তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কিনা সে বিষয়ে সরাসরি কিছুই বলেননি পাপন। তবে জানিয়েছেন, ক্রিকেটে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয় তার। এতে নিজের ব্যবসাসহ অন্যান্য দিকগুলো সামলাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় ডাক্তারও বলেছেন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে। সেটি জানালেন পাপন।
পাপনের ব্যাখ্যা, ‘ক্রিকেটে অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। আমাদের বোর্ড থেকে জালাল ভাই গেল নিউজিল্যান্ড, ববি ভাই গেলো জিম্বাবুয়ে। ওনারা জানেন, ওনারা অবাক হয়ে গেছেন। ভোর থেকে তো খেলা দেখেছিই, ওনাদের ওখানে ৭টা বাজলে ফোন দিয়েছি, ব্রেকফাস্টের আগে সবার সাথে কথা বলা, তারপর টিম নিয়ে কথা বলা। আসলে ক্রিকেট ইজ টেকিং টু মাচ টাইম।’
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘আমার একটা খারাপ দিক হচ্ছে হারলে হারটা আমি মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, হারলে আমার বৌ-বাচ্চা সামনে আসে না। ডাক্তার আমাকে বারবার বলেছে ক্রিকেট থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরে সরে যেতে।’