তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ইদানীং যে বক্তব্য দিচ্ছেন, এতে সত্যিই আমার মনে হচ্ছে, তাঁর একটু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না’, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতে মনে হচ্ছে, তিনি এমন হতাশায় নিমজ্জিত যে এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন। যে দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। দুই পাশে জঙ্গিদের বসিয়ে, তাদের সঙ্গে মিটিং করে বলেন, আওয়ামী লীগ চেতনা ধারণ করে না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরা কোন চেতনা ধারণ করেন?
তিনি বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে তাঁর (ফখরুল) মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এটা ড্যাবের ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। কারণ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ইদানীং যে বক্তব্য দিচ্ছেন, এতে সত্যিই আমার মনে হচ্ছে, তাঁর একটু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দেশকে পুনর্গঠিত করে যখন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যারা দেশ চায়নি, পাকিস্তানি অপশক্তি, যারা পাকিস্তানের হয়ে লড়েছে, তাদের যৌথ সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কিন্তু তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্নপূরণের পথে অনেক দূর এগিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি করে, যারা আফগানিস্তানে তালেবান দখলের পর উল্লসিত হয়, তাদের এই অগ্রগতি পছন্দ হয় না। যাদের পছন্দ হয় না, তারা আবার হতাশার মধ্যেও আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ একটা কেস স্টাডি। আফ্রিকার দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ এখন মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের চেয়ে আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০ ডলার বেশি। এখন পাকিস্তানিরা আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে। আমরা কালো এবং খাটো বলে এই পাকিস্তানিরা আমাদের অবজ্ঞা করতো। এমনকি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে স্বাধীনতার পর আনন্দ-উল্লাসও হয়েছিল। আর সেই পাকিস্তানিরা আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে। ইমরান খান নিজে স্বীকার করেছেন, আজকে সবকিছুতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গেছে। এটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচনার সার্থকতা। এটি হচ্ছে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনার সার্থকতা।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, শাহ আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।