প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৩:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ই-কমার্সের নয়টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেন ও আর্থিক তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডট কম ডট বিডি এবং আলেশা মার্ট।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, তথ্য দিতে হবে ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডট কম ডট বিডি এবং আলেশা মার্টকে। ই-কমার্সের এই নয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে মার্চেন্টদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা, ক্রেতা ও মার্চেন্টদের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ, প্রতিষ্ঠানগুলোর চলতি ও স্থায়ী মূলধনের পরিমাণ, প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য কোথাও অর্থ সরিয়েছে কি-না তা জানা দরকার বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে তথ্য জানানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
এর আগেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ইভ্যালির ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে ওঠে আসে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা, আর কোম্পানিটির চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি টাকা। গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত পণ্যের মূল্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৪ কোটি টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহ করেনি ইভ্যালি। আবার মার্চেন্টদের কাছেও কোম্পানিটির বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা।
এদিকে, অগ্রিম টাকা নিয়েও পণ্য বা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় গত আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা হয়েছে। তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় এ মামলা করেন।