মাদক মামলায় আলোচিত নায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর দ্রুত শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে পরীমনির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশকে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু এহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন শুনানির জন্য ‘দীর্ঘদিন পর’ (১৩ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করে নিম্ন আদালতের দেয়া আদেশের যৌক্তিকতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
একই সঙ্গে পরীমনির জামিনের আর্জিও জানানো হয় আবেদনে। বুধবার (২৫ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান এ আবেদনটি করেন।
এর আগে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম। পরে ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ৪ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে গত ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।