আগস্ট, শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার মাস: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১১:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আগস্ট মাস ট্রাজেডির মাস। এই মাসটা আসলেই মনের ভেতরে কি রকম একটা রক্তক্ষরণ হয় সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট মারা যান আইভি রহমান। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই অনেক মিশুক ছিলেন, সবার সাথে কথা বলতে ভালোবাসতেন। নির্ভীক অসীম সাহসী শহীদ বেগম আইভি রহমানের রক্তের ঋণ শোধ হবার নয়। জাতি তাঁর অবদান বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৪১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাবি ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতা বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আগস্ট মাস আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের মাস, বেদনার মাস এবং আমরা স্মৃতিহারা হয়ে যাই এই মাসে। এই মাসটি আসলেই আমাদের বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ হয়, আমরা প্রতিবাদে ফেটে পড়ি এবং শোককে শক্তিতে পরিণত করে যে একটা দুর্দান্ত সাহসী হয়ে ১৮ কোটি মানুষ গর্জে ওঠে এই মাসে। এই আগস্ট মাসে সেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা যারা এই দেশটাকে নিয়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এখনো আছে তারা এই দেশটাকে অচল করার জন্য এখনও মৌলবাদী গোষ্ঠী, এখনো ধর্মান্ধ এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে নিয়েই বারবার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এই দেশটাকে পিছিয়ে দিতে চায়। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল এবং তারপর থেকেই একদল ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের স্বাধীন বাঙলার উন্নয়ন রথ যেটা আমাদের জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল তা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই জন্যই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের উপর। এরপর ২১টি বছর বাংলাদেশ ছিল অন্ধকার যুগে। এরপর এর থেকে বাঙালিকে পরিত্রাণ দেয় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। আজকে তিনি নেই কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে আছেন। তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে আজ আমরা দেশের বিরুদ্ধে রটে যাওয়া সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি এবং হচ্ছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বর্ণযুগ পালন করে আসছে যা ইতিমধ্যে সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অবস্থানে আছে, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকগুলো যেভাবে ঊর্ধ্বগতিতে আছে তা আলোচনা করে সহজে শেষ করা যাবে না। যখনই এইরকম উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেশে শুরু হয়ে একটি আশার দিক সৃষ্টি করে, তখনই এই দেশেরই কিছু কুচক্রীরা নানা রকম বিকল্প পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোকে সারা বিশ্বের কাছে ম্লান করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি, কোন রকমের ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই উন্নয়নগুলো কোনভাবেই বন্ধ করতে পারবে না।