তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষেরা তাদের মোবাইল ফোনে টাকা পাবে। যে টাকাটা তারা একটা দোকানে গিয়ে খরচ করবে, সেটাও তারা মোবাইলে পেমেন্ট করে দেবে। তাদের হাতে আর ক্যাশ রাখার প্রয়োজন হবে না। তাদের কষ্ট করে আয় করা টাকাটা তাদের থেকে কেউ চুরি করে নেবে না।
‘ব্লেজ’ সেবাটি সেই ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’র পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি অংশ, বলেও উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, করোনাকালীন সময়ে আমাদের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবায় প্রায় ১০ কোটি গ্রাহক যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও ইন্টার অপারেটবল ডিজিটাল ট্রাঞ্জেকশন প্ল্যাটফর্ম অলরেডি তৈরি হয়ে গেছে, যেখানে ১৫টি ব্যাংক এবং একটি এমএফএস কোম্পানী পরীক্ষামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি আরও বলেন, ইন্টার অপারেটবল ডিজিটাল ট্রাঞ্জেকশন প্ল্যাটফর্মটি এই মুজিব বর্ষেই দেশের মানুষকে উপহার দিতে চাই। যার ফলে আমাদের আর্থিক লেনদেন আরও বেশি দ্রুততার সাথে এবং স্বচ্ছতার সাথে শেষ করতে পারবো।
ব্লেজ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থসহ ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাত্র ৫ সেকেন্ডে বাংলাদেশে এসে জমা হবে।
বাংলাদেশে ৩৫টির মতো ব্যাংক ব্লেজ সেবাটি দিতে পারবে এবং সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা এই সেবা পাওয়া যাবে। হোম-পে, কিউক্যাশ ও সোনালী ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই ব্লেজ সেবার কারিগরি সহযোগিতা করেছে আইটিসিএল এবং আইসিটি বিভাগ।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আহমেদ জামাল, সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান, এলআইসিটির সামি আহমেদ, হোম পের সিও রুবেল আহসানসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা।