প্রকাশ: বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১, ৯:৫৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
১৯ দিন পর আবারও সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলতে শুরু করে।
এবার অর্ধেক গণপরিবহন সড়কে নামিয়ে তাতে শতভাগ যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তবে রাস্তায় অর্ধেক গাড়ি চলাচল নির্ণয় করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচল করবে। এক্ষেত্রে এক মালিকের কয়টি গাড়ি আছে বা কতটি গাড়ি চালাচ্ছে দেশব্যাপী এ বিষয়টি নির্ণয় করা একদিকে যেমন কঠিন হবে অন্যদিকে শ্রমিকরাও বেকার থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব শেষ হবে না। মালিকরাও ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাছাড়া দীর্ঘদিন পরে গাডড়ি চালু হবে, যার একটি মাত্র গাড়ি আছে তার অবস্থা কি হবে অর্ধেক গাড়ি চলাচল করলে পরিবহন সংকট দেখা দেবে এবং যাত্রীর চাপ বাড়বে। এতে করে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
'এসব দিক বিবেচনা করে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সব গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।'
তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনেই বর্ধিত ভাড়া না নিয়ে আগের ভাড়ায় গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে, গণপরিবহন চালুর বিষয়ে সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)৷
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১. আসন সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। দাঁড়িয়ে নেয়া যাবে না কোনো যাত্রী। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
২. আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলবে। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আর প্রযোজ্য হবে না। কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না অতিরিক্ত ভাড়া।
৩. গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার-ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য রাখতে হবে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
৪. যাত্রার শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে যানবাহনের মালিকদের।
৫. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহার থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।