শোকের মাস আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সম্প্রচার মাধ্যমের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শোকের মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ইউটিউবে এসেছে। কয়েক মিনিটের এই ভিডিওর ধারাভাষ্যে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কখনো পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাননি। তাঁর ৭ মার্চের ভাষণসহ বেতার ও টেলিভিশনের কিছু ভাষণের অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করে এতে দেখানো হয়েছে-পশ্চিম পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি ‘ভাই’বলছেন, ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছেন কিংবা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’বলছেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ মনে করে শোকের মাসে জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যম এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সঙ্গে হাত মিলেয়ে এ ধরণের নির্লজ্জ মিথ্যাচার শুরু করেছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ মনে ১৯৭৫ সালের মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র পাকিস্তানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিকল্পিতভাবেই কাজটি করেছে। এ ধরণের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) ডা. কামরুল হাসান খান. আ ব ম ফারুক, মেজর জেনারেল জন গোমেজ (অব.), অশোক বড়ুয়া, এ কে এম আতিকুর রহমান, মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ডা. উত্তম কুমার বড়ুযা, ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, মিহির কান্তি ঘোষাল, অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার, অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, তাপস হালদার, সলিমউল্লাহ সেলিম, বরুণ ভৌমিক নয়ন, কল্যাণ সাহা, শামসুল আলম সেতু, সিদ্দিকুর রহমান, কুদ্দুস আফ্রাদ, আশরাফ আলী, সাইফ আহমেদ, বিপ্লব পাল, অনয় মুখার্জী, শফিক রেঞ্জার, আনিসুজ্জামান মানিক, অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার প্রমুখ।