বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধুর জন্য ৩৬৫ দিনই হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়
যারা বঙ্গবন্ধুর আসল আদর্শের সৈনিক তারা কিন্তু ৩৬৫ দিনই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যারা আছেন তারা বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করেন। তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয় যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসা এবং তার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের জীবন পরিচালনা করে। এই মহামানবের স্মৃতি অম্লান হয়ে আছে। তিনি এমনভাবে আমাদের জীবনে কর্মে হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, যেন মনে হয় আমাদের মাঝেই আছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাকে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করে আসছি আমরা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪২৭তম পর্বে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, গৌরব ৭১-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকে আমার বক্তব্যের শুরুতে আমি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই মহামানবের স্মৃতি অমøান হয়ে আছে। তিনি এমনভাবে আমাদের জীবনে কর্মে হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, যেন মনে হয় আমাদের মাঝেই আছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাকে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করে আসছি আমরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দীর্ঘদিনের লড়াই-সংগ্রাম করেছেন এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য। একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে এমন কোন প্রতিষ্ঠা বা আইন নেই যা তিনি করেননি। মাসটি এলেই তাই মনে পড়ে যায়, সেই ভয়াবহ স্মৃতি, যা আমাদের বেদনায় সৃষ্টি করে নতুন করে যন্ত্রণার। যে বিশাল হৃদয়ের মানুষকে কারাগারে বন্দি রেখেও স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, অথচ স্বাধীন বাংলার মাটিতেই তাকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সেই ষড়যন্ত্রের নীল নকশা আজও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। জাতির পিতাকে হারানোর সেই দুঃসহ স্মৃতি দীর্ঘ কয়েক যুগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন তার সুযোগ্য উত্তরাধিকারী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ষড়যন্ত্রকারীরা সপরিবারে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত বর্বরোচিত অধ্যায়। আমরা হারিয়েছি বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের মহাকাব্যিক বীর নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হারিয়েছি তার দুই কন্যা ব্যতিরেকে পুরো পরিবারকে। যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট খুনিচক্র কেবল ব্যক্তি মুজিবকেই হত্যা করেনি। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তির ওপর আঘাত হানে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে পিছিয়ে নিয়ে যায়। আগস্ট মাস বাঙালির জন্য একটি বেদনাবিধুর মাস। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হালার ঘটনা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ষড়যন্ত্র এবং দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ভয়াবহ, অমানবিক প্রকাশ। কিন্তু আজ সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অদম্য গতিতে; বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে উদার-অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বমঞ্চে সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে বাংলাদেশ।