প্রকাশ: বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১, ৭:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ত্যাগের মহিমায় পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল আজহা। এই ঈদের মাহাত্ম কোরবানিতে। অর্থাৎ পশু কোরবানির মাধ্যমে। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ ব্যতিত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে পশু জবাই করলে কোরবানি হবে না।
কোরবানির কয়েকদিনের মধ্যে অনেকেই বিয়েসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। তাতে কোরবানির মাংস খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। আবার অনেককে বলতে শোনা যায়, এবার গরু বড় দেখে কিনতে হবে। কুরবানির পর অনুষ্ঠান আছে।
এভাবে নিয়ত করে কোরবানি করলে তা শুদ্ধ হবে না। কারণ, এতে মাংস খাওয়া ও অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার নিয়তে পশু জবাই হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আল্লাহর বিধান পূর্ণ করার জন্য এ কোরবানি করা হচ্ছে না। বরং আত্মীয়দের খাওয়ার জন্য পশু জবাই করা হচ্ছে।
তবে যদি আল্লাহর হুকুম পালন করার উদ্দেশ্যে কোরবানি করে থাকে, আর এরপর সেই মাংস দিয়ে অনুষ্ঠানের মেহমানদারি করে তাহলে শুদ্ধ হবে। আবার মেহমানদারদের খাওয়ানোও বৈধ হবে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন- এগুলোর (কোরবানির পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তার কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সুরা হজ : আয়াত ৩৭)
পরিশেষে, কোরবানির মাংস দিয়ে মুমিন মুসলমান বিয়েসহ যে কোনো বৈধ অনুষ্ঠানই উদযাপন করতে পারবেন। কিন্তু এ উদ্দেশ্যে কোরবানি দেওয়া যাবে না। কোরবানির উদ্দেশ্য থাকবে শুধু মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।