প্রকাশ: বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১, ৭:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কোরবানি ঈদের পশু জবাই করাসহ পশুর গোশত কাটতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্টার বই (রোগীর তথ্যবই) থেকে এই পরিসংখ্যা জানা গেছে। আহদের বেশির ভাগই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, আজ পবিত্র ঈদুল আজহার দিন জেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। এসব পশু জবাই ও পশুর গোশত কাটতে গিয়ে মৌসুমী কিছু কসাই ও পরিবারের সদস্যরা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তাদের কারো হাতে, পায়ে ধারালো ছুরি আঘাতে আহত হয়।
আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের কারো অবস্থাই গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদ বলেন, পায়ের নিচে গোশত রেখে কাটার সময় আমার পায়ে কোপ পড়ে যায়। এতে পায়ে ধাঁরালো ছুরির আঘাত লাগে। পড়ে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার পায়ে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
একই ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহত নয়ন জানান, সকালে কোরবানি দেয়ার পর গরুর গোশত কাটার সময় অসাবধানতা বসত আমার হাতে ছুরি লেগে অনেকাংশ কেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে সদর হাসপাতালে এসে ব্যান্ডিজ করার পর রক্ত বন্ধ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজীব জানান, আজ সকালে কোরবানির পশু মহিষ জবাই করার সময় সেটির বাঁধ ছিড়ে গিয়ে তার ওপর ছিটকে পড়ে। এতে তার শরীরের হাত, মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সদর হাসপাতাল ভর্তি দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: ধীমান দেবনাথ জানান, সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানির গোশত কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে ১০ জন গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত।