রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের কামারপল্লীতে
মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশ: শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১, ৯:০৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আর মাত্র ৩ দিন পরেই কোরবানি ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কোরবানি করা। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২ সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে অনেকটাই হতাশ ছিলেন কামারেরা। অবশেষে সরকার ঘোষিত লকডাউন শিথিল ঘোষণা মাত্রই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঠাকুরগাঁওয়ের কামাররা।

দিন-রাত টং টং শব্দে কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে আগুনে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদ উল আযাহা। আর এই ঈদে মসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে খুশি করতে পশু জবাই করে।

ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে তার ছেলে ইসমাঈল (আ.) কে কোরবানি করে ছিলেন সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করতে। পরে আল্লাহ তায়ালা তার কোরবানিকে পছন্দ করে ছেলের স্থলে ফেরেশতাদের হুকুম দেয় ছেলের বদলে পশু রেখে দিতে। এখান থেকেই মুসলমানরা প্রতি বছর আল্লাহকে খুশি করতে ঈদ উল আযাহার নামাজের পর পশু জবাই করে।

পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কোরবানীর পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসবের প্রয়োজন হয়।

ঈদের বাকি আর মাত্র ৩ দিন। তাই পশু কোরবানীকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও কামারপল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় কামারদের পিটাপিটি ও টং টং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কামার পল্লীগুলো। আবার এসব ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে শানের দোকানগুলোতেও ভীড় করছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দামে ছুরি, বঁটি, চাপাতি বিক্রি জন্য দোকানের সামনে সাজিয়ে রেখেছেন কামারেরা। বড় ছুরির দাম ১২’শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছোট ছুরির দাম ২৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। দেশীয় চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কামাররা জানান, আমরা মনে করেছিলা করোনার জন্য এবার কোনো বেচাকেনা হবে না। কিন্তু শেষ সময়ে এসে এতোটা চাপ বেড়ে যাবে তা কল্পনার বাইরে। ঈদের মাত্র ৩ দিন বাকি। যে হারে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে গেছে। সে অনুযায়ী আমাদের সামগ্রী নেই। যদি আরো কিছু দিন হাতে সময় থাকতো তবে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা যেতো। তার পরেও আমরা দিন-রাত কাজ করে ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দেওয়ার চেষ্টা করছি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]