প্রকাশ: বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১, ৩:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এক বিস্ময়কর ও বিরল দৃশ্য দেখা গেল কুষ্টিয়ার আকাশে। উজ্জ্বল সূর্যকে ঘিরে ২২ ডিগ্রির এক অভূতপূর্ব বর্ণবলয় দেখা গেছে। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘সোলার হালো’। স্বচ্ছ বরফের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করলে বায়ুমণ্ডলে এমন বলয় তৈরি হয় বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
বুধবার বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপরে তখন কুষ্টিয়ার খোকসার আকাশে এমন বলয় দেখা যায়। যার স্থায়ীত্ব ছিল ১৩ মিনিট।
সূর্য বলয়ে ছবি অনেকেই ক্যামেরায় ধারণ করে এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এ নিয়ে খোকসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা বলেন, আমরা এমন দৃশ্য দেখে অবাকই হয়েছি। তবে এটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তবে এটা জানি, এটিকে বলা হয় সূর্য বলয়।
চাঁদের চারপাশে বলয়ের সৃষ্টি হলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। কারণ, একটি ঝড়ের আগে অনেক উচ্চ আলোকমেঘ সৃষ্টি হয়। যখন আমরা সূর্য বা চাঁদের চারপাশে সে বর্ণবলয় দেখি তখন খুবই পাতলা রঙিন মেঘগুলো আমাদের মাথার ২০ হাজার ফুট ওপরে জমা হতে থাকে। এ মেঘগুলোতে থাকে অতি ক্ষুদ্র বরফ ক্রিস্টাল বা স্ফটিক। আর এই বর্ণবলয়ের সৃষ্টি হয় সেসব বরফ স্ফটিকের প্রতিসরণ ও প্রতিফলন উভয়ের মাধ্যমেই।
চাঁদের আলো স্ফটিকের ভেতর প্রবেশ করে এবং ঠিক ২২ ডিগ্রি কোণে প্রতিসরিত হয়। স্ফটিকগুলো ঠিক সেভাবেই সজ্জিত ও বিন্যস্ত হয় ঠিক সেভাবেই, যেভাবে আমরা আমাদের চোখের সাপেক্ষে বর্ণবলয়টা দেখি। আর মূলত এ কারণেই চাঁদ বা সূর্যের চারপাশে এই বর্ণবলয় সৃষ্টি হয়। এই বর্ণবলয়েরর ব্যাস হয় ২২ ডিগ্রি।
বর্ণবলয়ের কারণ জেনে মনে হতে পারে এটা খুবই দুর্লভ একটা ঘটনা। আসলে তা নয়। বরং ২২ ডিগ্রি সৌর বর্ণবলয় বছরে প্রায় একশ’ বার দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ রংধনুর চেয়েও বেশি দেখা যায় ২২ ডিগ্রির এই সৌর বর্ণবলয়।