আমগাছের মালিক মো. আসাদুর রহমান আসাদ তার বাগানে থাকা আমকে সূর্যডিম নামক আম বলে দাবি করে যুগান্তরকে জানান, গত তিন বছর আগে ব্যবসায়িক সূত্রের পরিচয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক ব্যক্তির পরামর্শে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে যশোর শহর থেকে তিনটি গাছ কিনে তা বাগানে লাগান।
তিনি বলেন, গাছ লাগানোর এক বছর পর একটি গাছ মারা যায়। জীবিত থাকা দুটি গাছে গত বছর ৫-৭টি করে আম ধরে। এ বছর গাছ দুটিতে প্রায় ১৫০টি আম ধরেছে। কিন্তু আমসহ গাছ দেখতে এসে জনতা একটি গাছের আম সব ছিঁড়ে নিয়ে যায়।
আম রক্ষায় মশারি দিয়ে গাছ দুটিকে ঢেকে ২ জন পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে একটি গাছে আম রয়েছে ৩০-৪০টি, অপরটিতে রয়েছে মাত্র ১টি আম।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে গাছে থাকা আমগুলো বিক্রি করার ইচ্ছা তার নেই। বিরল প্রজাতির এই আমগুলো তিনি নিজের আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজন নিয়ে খেতে চান।
বিষয়টি সম্পর্কে অভয়নগর উপজেলা বন বিভাগের ফরেস্টার সমীরণ কুমার বিশ্বাস জানান, সূর্যডিম আম প্রজাতির নাম শুনেছি। কিন্তু এই আম গাছের চাষাবাদ এখনো এ অঞ্চলে জনপ্রিয়তা আসেনি।
ভোরের পাতা/কে