সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'গণমাধ্যমের স্বাধীনতার শিকারি' উল্লেখ করে প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ)' প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
আজ বুধবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএফইউজে'র সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তারা বলেন, ওই প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর, অগ্রহণযোগ্য ও উদ্দেশ্যমূলক।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিএফইউজে মনে করে, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি হওয়ায় এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ঈর্ষান্বিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি দ্বারা প্ররোচিত হয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) এই অপমানকর ও উদ্ধত্যপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বিএফইউজে'র নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষা ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। টিভি চ্যানেলের জন্য সম্প্রচার নীতিমালাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাংবাদিকদের আপৎকালে আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা থেকে প্রতিবছর শত শত অসুস্থ অসহায় অসচ্ছল সাংবাদিক চিকিৎসাসহ নানাবিধ সহায়তা পাচ্ছেন। এ ছাড়াও করোনা মহামারির এই আপৎকালে তিনি সারাদেশের হাজার হাজার সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, এখনো দিচ্ছেন। যা এই উপমহাদেশে বিরল দৃষ্টান্ত।
তারা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের বিকাশ সাধন ও বিস্তারে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে বেসরকারি খাতে অর্ধশতাধিক টিভি চ্যানেল, ৩ হাজারেরও বেশি সংবাদপত্র, দুই শতাধিক অনলাই নিউজ পোর্টাল অনুমোদন পেয়েছে। তাছাড়াও অনেক আইপি টিভি অনুমোদনের অপেক্ষায়।
নেতৃদ্বয় বলেন, সংবাদ প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে মানহানিকর মামলায় সাংবাদিকদের গ্রেফতারের পরিবর্তে সমন জারির বিধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এছাড়াও সংবাদ প্রকাশ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলকে আরো কার্যকর ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনে সারাদেশে সাংবাদিকদের প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যার সমাধানে ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরা, পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্পে শতশত সাংবাদিককে প্লট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে বর্তমানের বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসাস্থল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস কি তথ্যের ভিত্তিতে কার স্বার্থ রক্ষায় এই ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো তা বোধগম্য নয়। এর আগেও আল জাজিরা টিভি চ্যানেল একই ধরনের অপপ্রয়াস চালিয়েছিল।
বিএফইউজে মনে করে, এসব অপপ্রচার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক চক্রান্তেরই অংশ। বাংলাদেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ ধরনের চক্রান্তে মদদ দিয়ে থাকে।
বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ দ্বয় বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেকের কাছেই ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠেছে তাই দেশে ও বিদেশে চক্রান্তকারীরা সক্রিয় নেতৃন্দ দেশের কল্যাণে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এধরনের চক্রান্তের বিষয়ে সকল মহলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।