প্রকাশ: শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১, ১১:৪৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের জোবায়ের ইসলাম জিসান আদর করে তার ষাঁড়ের নাম রেখেছেন ‘শাকিব খান‘। শাকিব খান লম্বায় সাত ফুট। ওজন প্রায় ৩১ মণ। বয়স দুই বছর সাত মাস। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় শাকিবের দাম হাঁকছেন ১৩ লাখ টাকা। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
জানা যায়, দুই বছর সাত মাস আগে তরুণ উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম জিসানের খামারেই জন্ম হয় শাকিব খানের। এরপর থেকে তাকে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। ষাঁড়টির নাম শাকিব খান ও বেশি বড় হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে তাকে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করছেন। মাঝে মধ্যে ক্রেতারাও আসছেন ষাঁড়টি কিনতে। জিসান এই ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১৩ লাখ টাকা।
শাকিব খানের মালিক জোবায়ের ইসলাম জিসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ষাঁড়টি দেখতে সাদা। ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের পরামর্শক্রমে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছি। এখন ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ৩১ মণ। ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ১৩ লাখ টাকা, তবে আলোচনা সাপেক্ষে কম টাকায় বিক্রি করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে তিনটি গাভি দিয়ে খামারটি শুরু করা হয়। বর্তমানে খামারে ২৫টি ষাড় ও গাভী রয়েছে। এদের মধ্যে ছয়টি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে শাকিব খান ছাড়াও প্রায় একই ওজনের আরও একটি ষাঁড় রয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে ডিপজল। সেটা দেখতে কালো। ষাঁড় দুইটির জন্মের পরপরই খামারের ম্যানেজার তাদের নাম রাখে শাকিব খান ও ডিপজল। আমার অবর্তমানে বাবা শফিকুল ইসলাম খামারটি দেখাশোনা করেন। এছাড়াও খামারে একজন কর্মচারী রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জিসানের খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। উপজেলায় এই ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড়।
ভোরের পাতা/পি