প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ফাইজারের টিকা
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য দেশ সৌদি আরব ঘোষণা করে যে সেখানে পৌঁছানোর পর শ্রমিকদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
কুয়েতেও একই নিয়ম। তবে টিকা দুটি ডোজই নেয়া থাকলে এই নিয়ম শিথিল থাকবে।
শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিন প্যাকেজের জন্য ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকাও খরচ করতে হচ্ছে।
আর সেজন্যেই টিকায় অগ্রাধিকারের ব্যাপারে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে। তবে তারা শুনেছেন সৌদি আরব ও কুয়েত চীনের তৈরি টিকার সনদ গ্রহণ করা হবে না।
তাই প্রবাসী কর্মীরা ফাইজারের টিকা নিতে চান।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম জানিয়েছেন প্রবাসী শ্রমিকদের ফাইজারের টিকা দেবার পরিকল্পনাই তারা করছেন। তিনি বলেছেন, "সরকারের হাতে যতক্ষণ ফাইজার থাকবে সেটা আমরাই পাবো সেরকমই কথা হয়েছে।"
বাংলাদেশের কাছে এই মুহূর্তে এক লাখের মতো ফাইজারের তৈরি টিকা রয়েছে।
তবে ফাইজারের টিকার মূল সমস্যা হল এটি খুব কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।
ফাইজারের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে যা ঢাকা ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভব নয়।
সেক্ষেত্রে মুশকিল হচ্ছে এই টিকা নিতে হলে সকল শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে হবে।
যে হাসপাতালগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকেরা টিকা পাবেন
ঢাকার সাতটি হাসপাতালে শ্রমিকদের টিকা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
সূত্র: বিবিসি বাংলা