প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১, ১:০৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট জেলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। লকডাউন চলাকালে সব ধরনের যাত্রীবাহী গণপরিবহন, নৌযান, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠার বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মোংলা বন্দর এই লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। তবে, মোংলা বন্দর জেটি ও পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করা জাহাজের নাবিকরা মোংলা বন্দরে নামতে পারবেন না।
করোনা সংক্রমণের হার ৪০ থেকে ৭৩ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করায় বুধবার বিকালে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক জানান, সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় জেলায় করোনা সংক্রামণের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ২৪ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জেলায় সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে ব্যক্তিগত যানবাহন থেকে শুরু করে সবধরনের যাত্রীবাহী গণপরিবহন ও নৌযানসহ দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, হেটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। হেটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না। মসজিদে ৩ ফুট দূরত্ব মেনে ২০ জন পর্যন্ত মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। কোনো সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান লকডাউন চলাকালে করা যাবে না। তবে, জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে।
তিনি জানান, দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মোংলা বন্দর এই লকডাইন আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মোংলা বন্দর জেটি ও পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করা জাহাজের নাবিকরা মোংলা বন্দরে নামতে পারবে না। জেলা প্রশাসক বাগেরহাট জেলায় করোনা সংক্রমণের হাত থেকে নিজে, পরিবারের সদস্যসহ সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে লকডাউন চলাকালে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, লকডাউন না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত করা হবে।
ভোরের পাতা/পি