বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে যতদিন আছে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ: ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১, ১১:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগের ইতিহাস সেটা বাংলাদেশের ইতিহাস। সে ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই শেখ হাসিনার ইতিহাস। বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭২ বছরের সব থেকে পুরানো রাজনৈতিক দল। আজকের দিন এই দলটিতে আরেকটি পালক যুক্ত করলো।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৭৯তম পর্বে বুধবার আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি কনস্যুলেট, জার্মান দূতাবাস, ফর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর বলেন, বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে দলটির জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেন থেকে ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার গঠন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং আজ অবধি আওয়ামী লীগের পথচলা চলছে। অনেক রক্তাক্ত পথ ধাপে ধাপে পাড়ি দিয়ে ৫৫ সালে আওয়ামী পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলে। তার আগেই ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জয় দিয়েই শুরু হয় মিশন। ভাষা আন্দোলন থেকে ছয় দফা হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রক্রিয়াটি চালিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগের পূর্ব পাকিস্তান সাংগঠনিক কমিটি তৈরি হয়। ৪ঠা জানুয়ারি, ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় (পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ)। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতালিপ্সু নেতৃত্বের কবজা থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করে জনগণের রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম প্রতিষ্ঠা করা হয় আওয়ামী লীগ গঠন করার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন, আমরা জাতির জনকের হত্যার বিচার করতে পেরেছি। অধিকাংশ খুনির শাস্তি কার্যকর করতে পেরেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। পঁচাত্তর হত্যাকা-, পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার। ইতিহাস বিকৃতির লীলাখেলা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের বেহাল দশা। ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরিস্থিতির এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহর রহমতে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা ৮১ সালের ১৭ মে প্রতিকূলতার বেড়াজাল ভেঙে ফিরেছিলেন এই দেশে। তরুণ শেখ হাসিনার উপর আস্থা ছিল সকলের। আওয়ামী লীগকে ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকেই সবাই ঐক্যের প্রতীক মেনে নিয়েছিল। সেদিন থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। এই এগিয়ে যাওয়াকে রুখতেই হলি আর্টিজান, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, খুন-হত্যা-গুম জ্বালাও-পোড়াও। কিন্তু লাভ হয়নি। লাভ হবেও না। এ কথা অস্বীকার করবার কারও সুযোগ নেই যে জিয়াউর রহমান, খালেদা, জিয়া, তারেক রহমান এদেশকে পিছিয়ে দিয়েছেন কয়েকশ’ বছর। পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের পুনর্বাসন করেছে। আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছেন নিজেদের সুবিধা আদায়ে। ভাবেননি মানুষের কথা, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু পূরণ করেননি। প্রত্যাখ্যান করেছেন জনগণকে। বিনিময়ে জনগণও তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মানস কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাজারো লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা অতিক্রম করে আজ এই পর্যায়ে এসেছে।
ভোরের পাতা/পি