আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস:মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার#বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে যতদিন আছে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ:ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর#বাংলাদেশের সব অর্জনের প্রতীক আওয়ামী লীগ:ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ# সঠিক নেতৃত্ব আছে বলেই আওয়ামী লীগ আজ এতদূরে এসেছে:ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া
আওয়ামী লীগের ইতিহাস সেটা বাংলাদেশের ইতিহাস। সে ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই শেখ হাসিনার ইতিহাস। বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭২ বছরের সব থেকে পুরানো রাজনৈতিক দল। আজকের দিন এই দলটিতে আরেকটি পালক যুক্ত করলো।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৭৯তম পর্বে বুধবার আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি কনস্যুলেট, জার্মান দূতাবাস, ফর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, প্রথমেই আমি যে কথাটি বলতে চাচ্ছি যেটা প্রতিষ্ঠিত সত্য হলো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস সেটা বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সে ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই শেখ হাসিনার ইতিহাস। এই যে বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা; এদেরকে আলাদা করে আলোচনা করার কোন সুযোগ নাই। একটিকে নিয়ে কথা বলতে গেলেই আরেকটি অটোমেটিকলি চলে আসবে। একটা জাতি এবং রাষ্ট্রের কিছু সম্পদ থাকে যেটা অমর, তার কোন মৃত্যু হয় না। সেই সম্পদের একটি হচ্ছে সেই জাতি রাষ্ট্রের সংস্কৃতি ও আরেকটি হচ্ছে সেই জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। আওয়ামী লীগ জন্মের আগে বা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগে নেতৃতে আসার আগের বাঙালি জাতির যে সংস্কৃতি ছিল তা অচেতন অবস্থায় ছিল। অর্থাৎ সুপ্ত অবস্থায় ছিল। এই অবস্থা যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যক্ষ করলেন তখন তিনি ভাবলেন যদি এই বাঙালি জাতির সংস্কৃতির যে শক্তি সেটাকে যদি জাগিয়ে তোলা যায় তাহলে বাঙালি জাতির মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হবে, আর একবার যদি জাগরণ সৃষ্টি করা যায় তাহলে এই বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। সুতরাং সেই চিন্তার জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদের সেøাগান দিলেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই বাঙালি জাতির যে সুপ্ত সংস্কৃতি ছিল সেটা জেগে উঠলো। এই শক্তি কিন্তু সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের আন্দোলন বলেন, সংগ্রাম বলেন এবং পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান অর্জনে। আমি আরেকটি শক্তি কথা বলেছিলাম যেটা হচ্ছে জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বাঙালি জাতির যতো ইতিহাস হয়েছে সব কিছুই মূলত শুরু হয়েছে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টির পরে এবং এই ইতিহাসে মধ্যে যতগুলো সংগ্রাম আন্দোলন হয়েছে সবগুলো পরিচালিত হয়েছে একটি রাজনৈতিক দল, যেটা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদিও ষাটের দশকের আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন না তারপরেও ১৯৪৭-৪৮ থেকে শুরু করে তিনিই কিন্তু মূল চালিকা শক্তি ছিলেন আওয়ামী লীগের। সব কিছু তার চিন্তার ফলন ঘটেছে। সুতরাং এই দুটি শক্তির উপর ভর করে বাংলাদেশ এখনো টিকে আছে, বাংলাদেশের উপর যতো আঘাত এসেছে সবগুলো মোকাবিলা করেছে এই দুটি শক্তি। আজকে ৭২ বছর বয়সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়েছে, এই দলটির দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাবো এই দলটির অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখন একাত্তরের পরাজিত গোষ্ঠি, পঁচাত্তরের অপশক্তি ও দেশি-বিদেশি যে সকল ষড়যন্ত্রকারীরা আজকে আওয়ামী লীগের চরম প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড়িয়ে গেছে। এখন এখান থেকে উত্তরণ করে বাংলাদেশ স্বাধীনের যে মূল উদ্দেশ্য ছিল যেটা অর্থনৈতিক মুক্তি সামাজিক মুক্তি সেটা শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব।
ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর বলেন, বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে দলটির জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেন থেকে ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার গঠন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং আজ অবধি আওয়ামী লীগের পথচলা চলছে। অনেক রক্তাক্ত পথ ধাপে ধাপে পাড়ি দিয়ে ৫৫ সালে আওয়ামী পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলে। তার আগেই ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জয় দিয়েই শুরু হয় মিশন। ভাষা আন্দোলন থেকে ছয় দফা হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রক্রিয়াটি চালিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগের পূর্ব পাকিস্তান সাংগঠনিক কমিটি তৈরি হয়। ৪ঠা জানুয়ারি, ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় (পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ)। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতালিপ্সু নেতৃত্বের কবজা থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করে জনগণের রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম প্রতিষ্ঠা করা হয় আওয়ামী লীগ গঠন করার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন, আমরা জাতির জনকের হত্যার বিচার করতে পেরেছি। অধিকাংশ খুনির শাস্তি কার্যকর করতে পেরেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। পঁচাত্তর হত্যাকা-, পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার। ইতিহাস বিকৃতির লীলাখেলা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের বেহাল দশা। ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরিস্থিতির এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহর রহমতে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা ৮১ সালের ১৭ মে প্রতিকূলতার বেড়াজাল ভেঙে ফিরেছিলেন এই দেশে। তরুণ শেখ হাসিনার উপর আস্থা ছিল সকলের। আওয়ামী লীগকে ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকেই সবাই ঐক্যের প্রতীক মেনে নিয়েছিল। সেদিন থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। এই এগিয়ে যাওয়াকে রুখতেই হলি আর্টিজান, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, খুন-হত্যা-গুম জ্বালাও-পোড়াও। কিন্তু লাভ হয়নি। লাভ হবেও না। এ কথা অস্বীকার করবার কারও সুযোগ নেই যে জিয়াউর রহমান, খালেদা, জিয়া, তারেক রহমান এদেশকে পিছিয়ে দিয়েছেন কয়েকশ’ বছর। পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের পুনর্বাসন করেছে। আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছেন নিজেদের সুবিধা আদায়ে। ভাবেননি মানুষের কথা, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু পূরণ করেননি। প্রত্যাখ্যান করেছেন জনগণকে। বিনিময়ে জনগণও তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মানস কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাজারো লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা অতিক্রম করে আজ এই পর্যায়ে এসেছে।
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭২ বছরের সব থেকে পুরানো রাজনৈতিক দল। আজকের দিন এই দলটিতে আরেকটি পালক যুক্ত করলো। সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার হাত ধরে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা এই পথ চলার প্রতিটি ধাপে ধাপে একেকটি অর্জন লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশির ভাগ সময়ই কেটে গেছে লড়াই আর সংগ্রামে। হত্যা, ষড়যন্ত্র- সবই দেখেছে দলটি। এরই মধ্যে ৭২ বছর পূর্ণ করল আওয়ামী লীগ দলটি। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেওয়া দলটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বুধবার। ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতেই ছিল। ৬৬-এর ছয় দফার মোড়কে স্বাধীনতা নামক একদফাও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক অনন্য সাধারণ প্রজ্ঞার প্রতিফলন। ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তের আরও একটি নক্ষত্রসম ঘটনা। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় যেন পৃথিবীর বুকে নবরূপে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশের এক বিজয় কেতন। ১৯৭১ সালের দ্রুত বয়ে যাওয়া মার্চের ঘটনাপ্রবাহ ও তারপর ৭ মার্চে, বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর গর্জন সৃষ্টির ঘটনাপঞ্জি যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরই বীরত্বকাব্য। অবশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এরপর থেকে তিনি শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, আমার জানামতে পৃথিবীতে এমন কোন সংগঠন নাই যারা নাকি হাজার বছরের স্বপ্নের নিজস্ব রাষ্ট্র, জাতি, ভাষা, গোষ্ঠী এবং সংস্কৃতি; যেটাকে আগায়ে নিয়ে যাওয়ার একটা ধারাবাহিক পক্রিয়া ছিল সেটা একমাত্র শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই করেছে। বায়ান্নর রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের বাঙালির রাজনৈতিক ঐক্যে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে বিজয় ও সরকার গঠন, ৫৮ তে সামরিক দুঃশাসন তথা আইয়ুববিরোধী রাজপথের আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬তে বঙ্গবন্ধুঘোষিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আন্দোলন, ১৯৬৮ তে সর্বাত্মক গণ-আন্দোলন, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে আইয়ুবী শাসনের অবসান এবং ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন আদায়ের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছয় দফার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার পক্ষে বাঙালির ঐতিহাসিক গণরায়। সেই রায় উপেক্ষার প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর একাত্তরের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, অবশেষে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। বঙ্গবন্ধু কিন্তু মন্ত্রিত্ব পদ থেকে পদত্যাগ করে একটি দলকে সংগঠিত করেছ কারণ তিনি জানতেন একটি জাতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে এবং সেই প্লাটফর্মটা ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই সংঘটনের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এই কথাটি বলতে চাই, বাংলাদেশ আজকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে বিশ্বের যেকোন দেশের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা অনেকাংশে এগিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে যা মোটেও সহজ কাজ নয়। এসব একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিচক্ষণতা ও দেশীয় মানুষকে উজ্জীবিতসহ সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। পৃথিবীতে যদি কোন দল একটি সঠিক নেতৃত্ব পায় তাহলে সে দেশের সকল মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা সম্ভব।
ভোরের পাতা/পি