করোনাভাইরাসের কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, তাঁরা চেষ্টা করে যাবেন। এ জন্য আরও কিছুদিন দেখতে হবে। যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প অনেক কিছু চিন্তা করার আছে। পরিস্থিতি (করোনা পরিস্থিতি) কী কী হতে পারে, তা চিন্তা করা হচ্ছে। আসলে এখানে কারও হাত নেই। সব রকম পরিস্থিতি চিন্তা করেই কী কী সম্ভাব্য বিকল্প থাকতে পারে, তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন সেগুলো চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। তবে এখনো ভাবছেন চেষ্টা করে যদি পরীক্ষা নেওয়া যায়। নেওয়া গেলে নেওয়া হবে। আর যদি পরীক্ষা না নেওয়া যায়, তাহলে বিকল্প মূল্যায়ন কী হতে পারে, তা নিয়ে ভাবছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) কেরানীগঞ্জ জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলীম মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের শেষে ও এ বছরের শুরুতে সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম। করোনা সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বগামী। যেখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ শতাংশের নিচে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখন তো অনেক বেশি। সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি আপনারাই বলেন এই পরিস্থিতি কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায়।’ তিনি জানান, সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সময় জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কী করে বলবো বলেন। আমাদের কারো পক্ষে বলা সম্ভব না। আমরা আশা করেছিলাম, মার্চ মাসে খুলে দেবো। প্রতিদিন সিনারিও চেঞ্জ হচ্ছে। লকডাউন মানলে সংক্রমণ কমবে। আমরা তো মানিছি না, আর মানছি না বলেই বার বার খারাপের দিকে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের বলবো পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাবেন না। পরীক্ষা যদি না হয় তাহলে পরের ক্লাসে তো উঠতে হবে। তাই পড়া ছেড়ে দিলে হবে না।
অভিভাবকেদর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভয়ংকর ভিডিও গেমস রয়েছে, মাদক সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং রয়েছে; বাবা-মায়েরা দেখবেন, এগুলোর সঙ্গে কিশোরা যেন না জড়ায়। বাবা-মা সব সময় দেখেন। এই সময় যেন একটু বেশি গুরুত্ব দেন।
শিক্ষার্থীদের টিকা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এবার তো উপহারের ৬ লাখ টিকা এসেছে। এর মধ্যে আরও আসছে। জুন থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার কথা।
সব শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে তারপর সবাইকে দেবো।
ভোরের পাতা/ই