বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বেঁচে আছে বলেই বাংলাদেশ বেঁচে আছে: আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম
প্রকাশ: শনিবার, ২২ মে, ২০২১, ১০:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া একটি দেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হওয়া একটি দেশ আমরা পেয়েছি। যারা ষড়যন্ত্রকারী ছিল তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেই বাংলাদেশকে আবার পুরাতন অবয়বে ফেরানোর জন্য পাঁয়তারা করেছিল। ১৯৮১-এর ১৭ মে নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙলার মাটিতে পা রেখেছিলেন। ১৯৮১ থেকে আজ ২০২১ পর্যন্ত; এই চার দশক শেখ হাসিনার রাজনীতি জীবনের উল্লেখযোগ্য একটা বড় অংশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৪৭তম পর্বে শনিবার (২২ মে) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিক জামান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক, মাসিক মুক্তমঞ্চের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে পরিবর্তনটা স্বাধীনতা পরবর্তীসময়কালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় অনুঘটক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। সেই রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের যেসব সদস্য অবস্থান করছিলেন তাদের সকলকেই ঘাতকরা হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় পাকিস্তানি ভাবাদর্শে শাসকদের অধিষ্ঠিত করা। বাংলাদেশ যেন কোনো অবস্থাতেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণহীন রাষ্ট্রব্যবস্থারূপে গড়ে উঠতে না পারে। ১৯৭৫-এর পর থেকে বাংলাদেশ সেরকমই এক উলটো রথে পথ পরিভ্রমণ শুরু করে। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দল ও রাজনীতিকে সক্রিয় করা, রাষ্ট্রকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ফিরিয়ে আনা, সেভাবে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা বেশ কঠিন ও জটিল করে ফেলা হলো। পঁচাত্তরের পর ১৯৮১ সালে স্বদেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তারই সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ লাভ করে। মাঝে বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনের পর ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। আমরা আল্লাহ্র কাছে এখনো প্রার্থনা করি যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তুমি তার দুই কন্যাকে বাঁচিয়ে রেখেছ তার কারণে বাংলাদেশ বেঁচে আছে। আমাদের স্বপ্নকে বিস্তৃত করেছ।