নিহতরা হলেন- আহমদ রেজা (১৮), রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২৪)।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, চারজনকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে আহতদের মধ্যে হাবিবুল্লাহ নামে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এদিকে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, বাঁশখালী এলাকা থেকে ১০-১২ জন গুলিবিদ্ধ শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, ইফতার, নামাজ সূচি নির্ধারণ, বেতন ভাতা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় শ্রমিকরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ওই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজন সমাবেশের ডাক দেয়। ওই সমাবেশেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছিল।