ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষনা করেছে আওয়ামী লীগ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটের কারণে ঐতিহাসিক এই দিনটিতে ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সীমিত পরিসরে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় এবং দেশের সকল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সীমিত পরিসরে ও যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে সকাল ৯টায় ধানমন্ডি বত্রিশস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।
এছাড়াও মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ১০টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ (আওয়ামী লীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপির নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে সীমিত পরিসরে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন)।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটের কারণে সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনের জন্য দলের এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সাথে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ নির্যাতিত মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সকল সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঘরে বসেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনের জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীকে আহ্বান জানান।
এছাড়াও বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের সরকার ঘোষিত লকডাউন এবং নির্দেশিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে শতভাগ সামাজিক সচেতনতা নিশ্চিত করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসে চিরভাস্বর এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিলে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। সেদিন থেকে এই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বাসস
ভোরের পাতা/ই