শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কে কত বড় নেতা সেটা দেখার কোনও বিষয় নেই। প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে ভয়ে পেয়ে মামুনুল চট্টগ্রামে আসেনি। মামুনুল হক চরিত্রহীন ব্যক্তি। মিনিটে একজনকে, আবার কিছুক্ষণ পর আরেক জনকে তার স্ত্রী বানায়। এ ধরনের অপকর্মে হেফাজতের নেতাকর্মীরা কীভাবে জড়িত থাকে তা জাতি জানতে চায়?
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
নওফেল বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তা খুঁজে বের করতে হবে। যারা অরাজকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হেফাজতের আক্রমণের শিকার হয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। এর বিচার অবশ্যই হবে।
কওমি মাদ্রাসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামানো হচ্ছে। বিভিন্ন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে সরকার সম্মান দিয়ে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দিয়েছে। তারপরও তারা যদি বিশৃঙ্খলা করে তাহলে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করে দেখতে হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে বন্ধ রাখা হয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই বিষয়টি মনিটরিং করা হবে। যারাই নির্দেশনা না মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের পাতা/ই